অবতক খবর,১৮ অক্টোবর: প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে চলছে সাম্প্রদায়িক তাণ্ডব। সূত্রের খবর জানা যাচ্ছে,৭০টির উপরে মন্ডপ ভাঙ্গা হয়েছে, মন্দিরে লুটতরাজ হয়েছে। বহু বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‌তখন এপার বাংলায় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উত্তর ২৪ পরগণার বাদুড়িয়ার মুসলিম যুবকরা।‌ৎতারা হিমন মণ্ডল (২২) নামে এক যুবকের মৃতদেহ কাঁধে বহন করে দুই কিলোমিটার হেঁটে দাহঘাটে পৌঁছালেন। সৎ কাজের প্রস্তুতিতে হাত লাগান।

ষবাঁশেরকেল্লা দুর্গের নায়ক তিতুমীর বাদুড়িয়ার নারকেলবেরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ‌ তিনি ছিলেন কৃষক বিদ্রোহের নায়ক। ‌তাতে হিন্দু-মুসলিম চাষিরা সংঘবদ্ধভাবে বৃটিশের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন। সেই উদাহরণটির ধারাবাহিকতা এবং ঐতিহ্য বজায় রেখে হিন্দু-মুসলিম পরস্পর একসাথে হিমনের পাশে দাঁড়ালেন।

হিমন মণ্ডল একজন ২২ বছরের যুবক। অত্যন্ত গরীব। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। শনিবার রাতেই তিনি মারা যান। বিপদগ্রস্ত এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তার মা করুণা মণ্ডল। কারণ এই হিমন ছাড়া তার আর কেউ নেই। হিমনের পিতাও গত হয়েছেন। চাটাইয়ে তৈরি একটি ঘরেরষ তিনি হিমনকে নিয়ে থাকতেন। হিমনের মা করুণা দেবী শাক সবজি বিক্রি করে আর্থিক উপার্জন করেন। আর্থিক কারণে হিমনের মাধ্যমিকের পর আর লেখা পড়া হয়নি। তিনি সেলাইয়ের কাজ করে মাকে সাহায্য করতেন।

আজ হিন্দু-মুসলিম প্রতিবেশীরা নিঃস্ব মহিলা মাতৃসমা করুণা দেবীর পাশে দাঁড়ান এবং তারা তাকে আশ্বাস দেন যে এই শেষকৃত্যের দায়ভার তারা গ্রহণ করবেন। শেষ পর্যন্ত তারাই তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং তার মরদেহ কাঁধে নিয়ে দু কিলোমিটার পায়ে হেঁটে শ্মশানে গিয়ে হিন্দু মতে তার মথদেহ সৎকার করেন।