অবতক খবর,৩১ মার্চ: বীজপুরের অন্যতম সমাজকর্মী মলয় ঘোষ। তাঁর পরিচয় আর আলাদা করে দেওয়ার দরকার পড়ে না।‌কারণ কাঁচরাপাড়া তথা বীজপুরের অধিকাংশ মানুষই তাঁকে চেনেন। তাঁর এই কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি উঠে এসেছেন প্রথম সারিতে। দূর্গোৎসব হোক কিংবা বসন্ত উৎসব, তিনি সবসময়ই মানুষের পাশে থাকেন।

সকলের মুখেই শোনা যায় যে,মলয় ঘোষ নিজের কথা,নিজের পরিবারের কথা না ভেবে সমাজের কথা প্রথমে ভাবেন। ঠিক সেইরকমই এবার দুঃস্থ, অসহায়দের মুখে মুখে তাঁর নাম। দেশের এই দুর্দিনে তিনি দুঃস্থ,সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য যা করলেন,তা হয়তো অনেক বড় বড় নেতা-নেত্রীরাও করবেন কিনা সন্দেহ।

এমনটা আমরা বলছি না,বলছেন সাধারণ মানুষ। এই লকডাউনে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো। আর পথের দুঃস্থ মানুষ,সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের তো প্রায়ই না খেয়ে থাকার মত অবস্থা। এবার তিনি তাদের জন্য ৮০ ক্যুইন্টাল চাল,৫ ক্যুইন্টাল ডাল,১৫ বস্তা আলু,২৫ ক্যুইন্টাল আটা,২ হাজার মুড়ির প্যাকেট এবং ১৫ টিন সর্ষের তেলের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি এইসকল খাদ্য সামগ্রী সমানভাবে গোটা কাঁচরাপাড়ার দুঃস্থ, অসহায়,সমাজে পিছিয়ে পড়া,দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের মধ্যে বিতরণ করবেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি আমাদের সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান,”আমি যা করছি তা একজন মানুষ হয়ে মানুষের জন্য করছি। আমি প্রচারের আলোয় আসার জন্য এই কাজ করছি না। আপনারা জানতে চাইছেন বলেই জানাচ্ছি। আমি মনে করি সমাজসেবা করতে গেলে ক্যামেরার প্রয়োজন হয় না। আর আমি কোন রঙ এবং ধর্ম দেখছি না। আমার কাছে সবাই সমান। কারণ আমাদের দিদি বারবার বলছেন,সকলেকে মানুষের পাশে থাকতে হবে। কোন রঙ এবং ধর্ম দেখলে চলবে না।আমার প্রচারের প্রয়োজন নেই। সারাজীবন আমি যেন এইভাবেই মানুষের সেবা করে যেতে পারি। আমার কাছে এসে কেউ যেন খালি হাতে ফিরে না যায়।”