অবতক খবর,৩০ মার্চ: আজ রাতে পাল্লাদহ অঞ্চল এমআর-১৫ রেশন দোকান থেকে চাউল পাচার করছিলেন শংকর সাউ। গ্রামবাসীরা বুঝতে পারেন যে,এই চাল চড়া দরে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা দেখে গ্রামের ৩০০-৪০০ গ্রামবাসী দোকান ঘিরে ফেলে এবং ঘন্টা দুয়েক এই ঘেরাও আন্দোলন চলতে থাকে। রেশন শপের ভিতরে বসে থাকেন মালিক শংকর সাউ।

শেষ পর্যন্ত সাড়ে দশটা নাগাদ তিন গাড়ি পুলিশ ঢোকে এবং শঙ্কর সাউকে তুলে নিয়ে যায়।

এই যে করোনা পরিস্থিতি এই সময়েও যে কালোবাজারিরা প্রস্তুত থাকে চড়া দামে মাল বিক্রি করার জন্য তার প্রমাণ এই ঘটনা। একদিকে যেমন মানুষ মরছে প্রাকৃতিক বিপর্যয় করোনার কারণে, অন্যদিকে মানুষই মানুষকে মারার ফন্দি আঁটছে, জিনিসপত্রের কালোবাজারি করে। এই ঘটনা তারই প্রমাণ দিচ্ছে।

ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রামীণ জনতা এতই উত্তেজিত ছিল যে, মালিকের বাড়ির জানালা দরজা ভাঙচুর শুরু হয়ে যায়। তার শপে সে কয়েকটি তালা দেওয়া থাকায় সেগুলো তারা ভাঙতে পারেনি। জনতা পুলিশকে অনুরোধ করে মালিককে যেন পুলিশ তুলে নিয়ে যায়, নাহলে যে কোনো মুহূর্তে অঘটন ঘটে যেতে পারে।

পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গেলেও কী কারণে ছেড়ে দেয়, তা জানা যায়নি।