সন্দেশখালি সিরিজ– তিন

১) অস্ত্র যখন গেরস্থালি

ভাণ্ডারের টাকা যতই করো দ্বিগুণ
লক্ষ্মীরা আর ভুলছে না
তাদের চোখে জ্বলছে আগুন।
এ কোন দ্বিভুজা দুর্গা নেমে এলো ভূতলে
তারা সদর্পে চলে দলে দলে
হাতে অস্ত্র হাতা খুন্তি লাঠি ঝাঁটা
তুমি শ্রী সাথী আর দেখাও যত ভাতা
এবার যমের দুয়ারে আর পড়ছে না কাটা।

২) আলপথ

অনেক হয়েছে!
এখন লড়াইয়ের পালা শোধবোধ
কে করতে পারে শাসককে অবরোধ?
শুধু মানুষ আর মানুষ
চেতাবনি মানুষ নিজেই এক একটি অস্ত্র
গড়ে তোলো প্রতিরোধ, মুখোমুখি প্রতিশোধ!

৩) চেতাবনি মানুষ

মানুষ নিজস্ব নিয়মে চেতাবনি
মানুষ নিজেরাই একটি সংগঠন।
কিউবার বিপ্লবে লেগেছিল কতজন?
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে পিঠ বোঝে
পেছনে ফেরা আর যাবে না।
এখন যুদ্ধ, সামনে এগোনোর আয়োজন।

৪) বরফ চাপা

গাঙ্গেয় উপকূলে প্রচণ্ড তুষারপাত
রাস্তাঘাট বাড়িঘর ঠাণ্ডায় জমে হিম।
বুদ্ধিজীবীদের দেহ বরফের নিচে
উদ্ধারে নেমেছে মিলিটারী টিম!

৫)

বাছাই

ওরা আসতো। বাইকে করে আসতো। ঘরে ঘরে ঢুকে পড়তো। মেয়েদের বাছাই করতো। বয়স দেখতো। মুখের গড়ন দেখতো। শরীরের মাপ দেখতো। তুলে নিয়ে যেতো। পার্টির অফিসে রাখতো। একদিন নয়, ওদের ইচ্ছেমতো দিন কাটাতে হতো।
আমরা নীরবে সব সহ্য করতাম। ওদের মন ভরলে মাথায় বড় ঘোমটা টেনে বাড়ি ফিরতাম।

সন্দেশখালি!
আমরাও মাথা হেঁট করে আছি।
আয়নায় মুখ দেখলেই
নিজের চেহারা নিজেকে বলছে, ছিঃ! ছিঃ!