অবতক খবর,১৫ ফেব্রুয়ারিঃ মনি ভট্টাচার্য ঈশ্বর গুপ্ত পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর উদ্যোগ না থাকলে এই সংস্থাটির কাঁচরাপাড়ার জনপদে জন্মই হতো না। ইতিমধ্যে এই সংস্থাটির কত দূর বিস্তৃত হয়েছে আমি জানিনা তবে পশ্চিমবঙ্গ নামক রাজ্যে কাঁচরাপাড়ার ঈশ্বর গুপ্ত পরিষদের কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যে এক চর্চিত বিষয় হয়ে গিয়েছে।এই সাধারণ মানুষটি কাঁচরাপাড়ার বুকে একটি দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন।

কাঁচরাপাড়ার মতো এই জনপদে কোনো মনীষীর নামে আমার সময়কালীন সময়ে কোন পুরস্কার চালু হয়নি। এ ব্যাপারে পথপ্রদর্শক মণি ভট্টাচার্য। তিনি ছিলেন আলোকচিত্রগ্রাহক এবং পুরাতনী বিষয়ে অত্যন্ত অনুসন্ধিৎসু একজন ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষ। ছোটবেলা থেকেই সে আমার সহচর ছিল। তাঁর উৎসাহেই আমি আঞ্চলিক পুরাতন ঘটনা বিষয়ে লেখায় আগ্রহী হয়েছিলাম। এ বিষয়ে আমি তাঁর কাছে ঋণী। বলতে গেলে আমরা দুজনই কোনো ঘটনা কোনো পুরাতনী বিষয়ে অনুসন্ধানে যেতাম এবং সেটি লেখার দায়ভার সে আমার উপর ন্যস্ত করেছিল।

মণি ভট্টাচার্যে পিতা যতীন ভট্টাচার্য আজীবন কমিউনিস্ট কর্মী ও সদস্য ছিলেন। তাঁর সাধারণ জীবন যাপন তাঁর পরিবারকে প্রবভাবিত করেছিল। আমরা মণির বাবাকে বলতাম আগুনের ফেরিওয়ালা। তিনি নিজের হাতে স্বাধীনতা পত্রিকা বিক্রি করেছেন কাঁচরাপাড়ার জনপদে।

পৌরসভার সঙ্গে কাঁচরাপাড়ার সংস্কৃতি উজ্জীবনের জন্য তিনি সংযোগ রক্ষা করতেন।

আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সংস্কৃতিমনস্ক একজন মানুষ এই জনপদ ছেড়ে চলে গেলেন।