অবতক খবর,২৪ সেপ্টেম্বর,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমানঃ “আশ্বিনের শারদও প্রাতে বেজে উঠেছে আলোর মঞ্জির”

একসময় মহালয়ের সকাল মানে রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে দেবীর চন্ডী পাঠ দিয়ে মহালয়া সকাল শুরু হত। বর্তমানে আধুনিক যুগে ও ডিজিটাল যুগে বিকল্প অনেক কিছু যেমন মোবাইল অ্যাপস রেডিও অ্যাপ থাকার কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই পুরনো রেডিও। ধুলো পড়ে থাকা রেডিও-টিও ঝাড়তে ঝাড়তে মহালয়া নিয়েস্মৃতি রোমন্থন করলেন মালডাঙ্গা ও মন্তেশ্বর বাজারের পুরনো দুই একজন ব্যবসায়ী।

ব্যবসায়ীরা বলেন,টেকনোলজির প্রাচুর্যে যে রেডিও সেটটির কথা মনে থাকেনা আজ আপামার আম বাঙালির সেই রেডিও সময় সরণি বেয়ে মহালয়ের আগে ফিরে আসে হারানো স্মৃতি নিয়ে। যে স্মৃতি লুকিয়ে হয়তো আপন সত্তা। ঘুম চোখে রাত চারটেয় বালিশের পাশে রাখা রেডিও অন করলি, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে আশিনে শারদপ্রাপ্তে মহিষাসুরমর্দিনী বাঙালি চিরন্তন এক আগমনী।

মহালয়ার ভোরে আকাশবাণী বিশেষ প্রভাতী অনুষ্ঠান শোনার মধ্যে হয়তো লুকিয়ে বাঙালি স্মৃতিসত্তা।

মন্তেশ্বর ব্লকের মন্তেশ্বর মালডাঙ্গা নানান ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে দোকানে রেডিওর খোঁজ করছেন অনেকে যা বলছেন বাঙালি রাজ্যের প্রতি টান বদলায়নি। এখন ও মন্তেশ্বর ব্লকের মন্তেশ্বর ব্লকের বুনিয়াদি সহ প্রত্যন্ত গ্রামের দুই চারজনের রেডিও সারানোর ও রেডিওর খোঁজ খবর করছেন অনেকে।