অবতক খবর: দেশের রাজধানী দিল্লিতে গিয়ে মুখে চুনকালি পরে গেল রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫ ধারা প্রণয়নের জন্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে রাজ্য বিজেপির নেতারা। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সুকান্ত মজুমদারদের আবদার পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি, অমিত শাহের কাছে দরবার করেন, ‘বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারি করার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আপনি কিছু করুন।‘ তবে সুকান্ত মজুমদারের এই দাবি কার্যত নাকচ করে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । শাহ সাফ জানিয়ে দেন, ৩৫৫ জারি করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে। তাই দাবি করলেই হয় না। সবদিক খতিয়ে দেখতে হয়। এখনই ৩৫৫ ধারা জারি করলে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল সুবিধা পাবে। কারণ, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা এখনও অটুট।

শাহ রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে বলেন, জোর করে ৩৫৫ অথবা ৩৫৬ জারি করতে গেলে দলের পক্ষে হিতে বিপরীত হবে। তাই কেন্দ্রের দিকে না তাকিয়ে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের মোকাবিলা করুন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে এই শাহি পরামর্শ দিলেন।

সংবাদিকদের সামনে দাবি করে সুকান্ত মজুমদার জানান, ৩৫৫ ধারা জারির বিষয়টি প্রশাসনিক। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন। এদিন দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাঁর বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে সুকান্ত বলেন, ”কিছুদিনের মধ্যেই ওঁর কী অবস্থা হয়, দেখতে থাকুন।”

এই বৈঠকের পর বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার মধ্যেও ভাল ফল করেছে বঙ্গ বিজেপি, তা উল্লেখ করে রাজ্য নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জবাবে পালটা টুইট করে তুলোধোনা করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। টুইটে লেখেন, আর কত নিচে নামবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? শালীনতা ও মানবতা – এই দুটি শব্দ আপনার অভিধানে নেই।