অবতক খবর: বুধবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ২১ সাংসদের প্রতিনিধিদল। তাঁরা স্মারকলিপি তুলে দেয় রাষ্ট্রপতির হাতে। সম্প্রতি দুই দিনের মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা। হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুর পরিদর্শন করে এসেছে এই প্রতিনিধি দল।

বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাদের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ-পর্ব ছিল। ওই আলোচনাপর্বে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতির কাছে মণিপুর ও হরিয়ানার ইস্যু তুলেছেন এবং জানা গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এরই সঙ্গে সংসদ পরিচালনা নিয়েও কথা হয় এদিন।
দু’টি গ্রুপে ভাগ হয়ে বিরোধী শিবির কুকি সম্প্রদায় অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর ও মেইতি অধ্যুষিত বিষ্ণুপুর ও ইম্ফল পশ্চিম জেলা পরিদর্শন করেন। এই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন অসংখ্য ঘরছাড়া মানুষ।

আজকের এই সাক্ষাতে কংগ্রেসের তরফে গৌরব গগৈ ও অধীর রঞ্জন চৌধুরী ছাড়া, উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুস্মিতা দেব, শরদ পাওয়ার, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাঃ ফারুক আবদুল্লাহ, রাজীব রঞ্জন (লালন), ডেরেক ও’ব্রায়েন, সঞ্জয় সিং, কানিমোঝি, সঞ্জয় রাউত, রামগোপাল যাদব প্রমুখ। অধীর রঞ্জন চৌধুরী সকলের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করেছেন।

অন্যদিকে, বিরোধীদের বিক্ষোভে দুপুর ২টো অবধি লোকসভা অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায়। জানা গিয়েছে বিরোধীরা মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনা না হওয়ায় রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে। প্রসঙ্গত, ৩ মে থেকে মণিপুর হিংসায় কমপক্ষে ১৫০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৬০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।

ইতিমধ্যে, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার তারিখ প্রকাশ্যে এসেছে। লোকসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৮ ও ৯ তারিখ আলোচনা হবে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে। ১০ আগস্ট কেন্দ্রের জবাবি ভাষণ। সেখানেই বিবৃতি দেবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় তিনমাস ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও প্রধানমন্ত্রী এই নিয়ে কিছুই বলেননি। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে অনোর বিরোধীরা। এরই মধ্যে আবার মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট।এ বিষয়ে জবাবদিহি করার জন্য মণিপুরের পুলিশ মহানির্দেশক (ডিজি)-কে তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, ‘পুলিশ মণিপুরের পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারিয়েছে।’ সব মিলিয়ে বেশ চাপে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার।