অবতক খবর,৪ ফেব্রুয়ারিঃ ভূমিহীন মানুষদের জন্য রাজ্য সরকার নিজভূমি নিজগৃহ প্রকল্প চালু করে ছিল। কিন্তু সেই প্রকল্পটি প্রায় ধ্বংসের দিকে। এমনি চিত্র ধরা পড়ল ইসলামপুর ব্লকের পন্ডিতপোতা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ধোলাই বস্তি এলাকায়। জানা গেছে রাজ্য সরকারের নির্দেশে নিজভূমি নিজগৃহ প্রকল্পের মাধ্যমে পন্ডিতপোতা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ধোলাই বস্তি এলাকায় মডেল গ্রাম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৬ জন বেনিফিশিয়ারি হাতে জমির পাট্টা দেওয়া হয়। এবং সেখানেই ঘর তৈরির জন্য ৭০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা ছিল।

৮৬ জনের মধ্যে প্রায় ৩৪ জন বেনিফিশিয়ারি একাউন্টে টাকা দেওয়া হয়। সেই ৩৪ জন বেনিফিশিয়ারি মধ্যে অনেকেই অর্ধেক টাকা পেয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে অর্ধেক ঘর তৈরি করে ছেরে দেন বেনিফিশিয়ারিরা। প্রশ্ন উঠছে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে বাড়ি করা সম্ভব? এখন যা জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে সেই টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরি করা সম্ভব নয় বলে স্হানীয় বাসিন্দাদের দাবি।

উপভোক্তাদের অভিযোগ বিডিও কাছে এবিষয় নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে মহম্মদ জহিরুদ্দিন এবং মুক্তার আলমকে দেখিয়ে দিয়েছেন। অভিযুক্ত দুজনের নাগাল না পাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে ঘর পাবার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবদ অর্ধনির্মিত বাড়ি পড়ে থাকায় ঝোপঝাড় জঙ্গল দিয়ে ভরে গেছে। বাড়ির তৈরীর নির্মান সামগ্রী স্থানীয় বাসিন্দারা নিয়ে চলে গেছেন বলে অভিযোগ। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নিজ ভূমি নিজ গৃহ প্রকল্পে ৩২ বাড়ি অর্ধনির্মিত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। গৃহহীনরা বাড়ি না পাওয়ায় আজও তারা সরকারি পূর্ত দপ্তরের জমিতে জবরদখল করে বাসা বেধে কোন রকমভাবে দিন গুজরান করছেন।

পন্ডিতপোতা -২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের প্রতিনিধি ক্ষিতিশ চন্দ্র সিংহ এর অভিযোগ, মহম্মদ জহিরুদ্দিন এবং মুক্তার আলম এই গৃহ নির্মানের টাকা নয়ছয় করার কারনে নির্মান কাজ সম্পন্ন করা যায় নি। প্রকল্পের সম্পূর্ন অর্থ প্রদান করে গৃহহীনদের হাতে বাড়ি তুলে দেবার দাবি করেছেন।

অভিযুক্ত মহম্মদ জহিরুদ্দিন জানিয়েছেন, নিজ ভূমি নিজ গৃহ প্রকল্পে ৮৬ টি বাড়ি তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে ৩২ টি বাড়ি তৈরীর জন্য সরকার অনুমোদন দিয়েছিল। বাড়ি তৈরীর জন্য উপভোক্তাদের ৭০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল।উপভোক্তাদের একাউন্টে সেই টাকা দেওয়া হয়।উপভোক্তারা সেই টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল।মোট ৭০ হাজার টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা রাজমিস্ত্রী বাবদ ব্যায় হয়।বাকি টাকা নির্মান সামগ্রী বাবদ ব্যায় হয়েছিল। প্রকল্পের সম্পন্ন টাকা উপভোক্তাদের না দেওয়ায় গৃহ নির্মানের কাজ অসম্পূর্ন রাখতে হয়। তিনি আরো জানান বেশ কয়েকটি বাড়িতে ঘরের টিন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঝড়ে সেই টিন উড়ে যায়। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবদ ঘর গুলো পড়ে থাকার কারনে এই অবস্থা তৈরী হয়েছে।