অবতক খবর: নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে নিয়োগ করা নিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে নিশানা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।এবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যপালের প্রবল সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা৷ এখানেই শেষ নয়, পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫ ধারা লাগু করা নিয়েও জোড়াল সওয়াল করেন তিনি৷

ধূপগুড়িতে পঞ্চায়েতের প্রচারসভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু৷ সেখানেই তিনি রাজ্যপালের বাসন্তী যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘উনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা ভাল। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না। শুধু ছবি তোলাই হবে। বাংলার আইন-শৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি প্রতিদিন যেভাবে খুন, বোমা বিস্ফোরণ মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে তাতে ওঁর অবিলম্বে ফ্লাইট বুক করে দিল্লিতে গিয়ে বাংলায় ৩৫৫ লাগুর ব্যাপারে কেন্দ্রকে বলা উচিত।’’
সোমবারই ফিরেছেন কোচবিহার থেকে৷ তারপর একফোঁটা বিশ্রামও নেননি৷ কলকাতায় ফিরেই সোজা চলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তী৷ সেখানে খুন হওয়া যুব তৃণমূল নেতা জিয়ারুল মোল্লার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন৷ ঘুরে দেখেন ঘটনাস্থল৷ সব শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিতেও শোনা যায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে৷

পদাতিক এক্সপ্রেসে বসেই নিহত যুবতৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। নিহত জিয়ারুলের পরিবার এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পর রাজ্যপাল প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হওয়া দরকার। মানুষের রক্তে রাজনৈতিক হোলি দুর্ভাগ্যজনক। এলাকায় গিয়ে আমি পরিস্থিতি দেখেছি। কে হিংসা ছড়াচ্ছে সেটা বড় কথা নয়, মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এটাই বড় বিষয়। কারা অশান্তির পিছনে তার তথ্য আমার কাছে রয়েছে। হিংসার দুঃখজনক অধ্যায় শেষ হওয়া উচিত।”

আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কড়া মন্তব্য করার পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি৷ বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের উচিত সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করানো।” এরই সঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ৪০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যও জিয়ারুলের পরিবারের হাতে তুলে দেন।