অবতক খবর: ‘অশান্ত’ কোচবিহারকে শান্ত করার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু জেলায় তিনি থাকাকালীনই আবার হিংসার অভিযোগ সামনে এসেছে। ঘটনাস্থল সেই দিনহাটার গীতালদহ। অভিযোগ উঠেছে, এক তৃণমূল নেতা এবং দুই কর্মীর হাত-পা বেঁধে অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ, বিজেপির বিরুদ্ধে। জখম তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতা হয়েছে। অন্য দিকে বিজেপি অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে দাবি করেছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দল আটকাতে অক্ষম। তার দায় চাপাচ্ছে বিরোধীদের ঘাড়ে। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

গীতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোরাম এলাকায় গীতালদহের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মাফিজুর রহমান এবং দুই তৃণমূল কর্মীকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর এবং অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত ১২টা নাগাদ।

তৃণমূলের অভিযোগ, ওই এলাকায় তাদের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী খলিল মিয়ার ছেলেকেও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আটকে রাখেন। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং দলের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে বিজেপির লোকজন তাঁদের উপর হামলা চালান এবং তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। আহতদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কোচবিহারের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা।

এই খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির দিনহাটা শহর মণ্ডল সভাপতি অজয় রায় বলেন, ‘মাফিজুর রহমান এক জন জেলখাটা আসামি। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এক দল টাকার বিনিময়ে প্রার্থী হয়েছে। আর এক দল টাকা দিতে পারেনি। তাই তারা মারামারি, কাটাকাটি করছে। আর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে বিজেপির উপর।’ এদিকে, ‘কী কারণে হিংসা ছড়াচ্ছে’, বিএসএফের কাছে জানতে চাইলেন রাজ্যপাল।