অবতক খবর: পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় মর্যাদার সঙ্গে হুলদিবস পালিত হলেও একাংশের অভিযোগ, অন্যবার সরকারি উদ্যোগে জেলার দুই জায়গায় বড় আকারে হুলদিবস পালিত হলেও এ বারে তেমনটা হয়নি।
এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী লোকশিল্পী সঙ্ঘের রাজ্য সহ-সম্পাদক জলধর কর্মকারের দাবি, ‘সম্ভবত নির্বাচনী প্রচারের কারণে সরকারি উদ্যোগে হুল দিবস পালনে এ বার তেমন সক্রিয়তা দেখা যায়নি। আগে জেলার দু’টি জায়গায় বড় আকারে দু’দিন ধরে অনুষ্ঠান হত। তবে আমি নিজে কয়েকটি সংস্থার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলাম।’ বান্দোয়ানের বাসিন্দা সাঁওতালি সাহিত্যিক মহাদেব হাঁসদা জানান, ‘নির্বাচনী প্রচারের ব্যস্ততায় এ বার হুল দিবস নিয়ে তেমন প্রচার চোখে পড়েনি। তবে বিভিন্ন সংস্থা দিনটি পালন করেছে।‘

অন্যদিকে প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পুরুলিয়া শহরের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে হুল দিবসের অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানে ছিলেন জেলাশাসক রজত নন্দা-সহ আধিকারিকেরা। পুরুলিয়া শহরের সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিধো-কানহোর মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

পুঞ্চায় বিজেপির সভায় সিধো-কানহোর প্রতিকৃতি নিয়ে মিছিল হয়। মঞ্চে তাঁদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘দলের এসটি সেলকে হুলদিবসের অনুষ্ঠান পালনের নির্দেশ দেওয়া ছিল। বোরো থানার বুরুডি মোড়ে সিধো-কানহোর মূর্তির পাদদেশে দলের কর্মসূচি ছিল। এছাড়া দলের জেলা কার্যালয়েও আমরা তাঁদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।’’
তবে মোটের ওপরে কাশীপুরের মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের সাঁওতালি বিভাগের উদ্যোগেও দিনটি পালিত হয়। ছাত্রছাত্রীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সাঁওতালি বিভাগের শিক্ষক লাখপতি হেমব্রম সিধো, কানহো, বীরসা, ঝানো, ফুলো মুর্মুদের আত্মত্যাগ নিয়ে আলোচনা করেন।বাঘমুণ্ডির অযোধ্যা পাহাড়ে এ দিন বড় আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। ছিল ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও।