আবতক খবর,দেবাশিস মালিক, কাকদ্বীপ:-   ইলিশের আকাল কাটিয়ে আবার মৎস্যজীবির জালে ধরা পরল বাঙালির প্রিয় রুপালি ইলিশ l কিন্তু দামের কাছে বাঙালি ইলিশ খাওয়া স্বাদ নেইl লকডাউন করোনাভাইরাস এর জেরে মৎস্যজীবীদের মাথায় হাত পড়ে ছিল দীর্ঘদিন l পুবালি হাওয়ায় পাশাপাশি ঝির ঝিরে বৃষ্টিতে কয়েক হাজার ট্রলারসমুদ্র পাড়ি দিয়েছিল ইলিশের খোঁজে l গত ১৫ জুন থেকে সমুদ্রে ইলিশ ধরার মরসুম শুরু হয়েছিল। কিন্তু লাগাতার নিম্নচাপ ও বৃষ্টি না হওয়ায় ইলিশের আকাল দেখা দেয়। সমুদ্রে পাড়ি দিয়ে ইলিশের বদলে অন্য মাছ ধরে ফিরতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। টানা ইলিশ না মেলায় লোকসানের বহর বাড়ছিল। লকডাউনের জেরে এমনিতে মৎস্যজীবীরা সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন।

অর্থনৈতিক মন্দায় কাবু ট্রলার মালিকরা। অনেক ট্রলার টাকার অভাবে সমুদ্রে রওনা দিতে পারে নি। এই পরিস্থিতির মধ্যে চলতি সপ্তাহের শুরুতে সমুদ্রে পাড়ি দেয় সুন্দরবনের হাজার চারেক ট্রলার। সমুদ্রে পর্যাপ্ত বৃষ্টিও শুরু হয়। তার ফলে ইলিশের ঝাঁকের দেখা মেলে। এবার ধরা পড়া ইলিশের ওজনও বেশ ভালো। গড়ে ৬ কুইন্ঠাল ইলিশ পেয়েছে ট্রলারগুলি। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন,‘‌ টানা লোকসানের পর মরসুমের প্রথম ভালো পরিমান ইলিশের দেখা মিলেছে। আগামী কয়েকদিন ইলিশ পাওয়া যাবে। দাম একটু চড়া। মৎস্যজীবীরা লাভবান হলেও আমাদমির পক্ষে সুখবর নয়। তবে আগামী দিনে দাম কমবে বলে আশা করি।’‌ সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা স্বীকার করেছেন, বাঙালির প্রিয় ইংলিশ অনেক বাঙালির পাতে ওঠেনি, শুক্রবার থেকে মৎস্যজীবির জালে ইলিশ উঠতে শুরু করেছে l মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটায় খুশি মৎস্যজীবী পরিবার l