অবতক খবর : সম্প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমের কাছে বোমা ফাটিয়ে বলেছিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ছাপানো হচ্ছে জোড়া ব্যালট পেপার৷ বিভিন্ন ছাপাখানায় এই কাজ চলছে৷ ভোট হয়ে গেলে বুথ থেকে স্ট্রংরুমে আসল ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়ার সময় নকল ব্যালট পেপারের সঙ্গে তা অদল বদল করা হবে৷ ফের রবিবার অধীর বোমা ফাটালেন ।

এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের আম-লিচু বাগান দেখতে পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্র বাহিনীকে। রোডে রোডে ঘুরবে কেন্দ্রীয় বাহিনী আর এখানকার পুলিশ করবে ভোট। রাজ্য সরকার অন্য রাজ্যের পুলিশ বাহিনী নিয়ে এসে এই রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে একত্রিত করে ভোট করতে চাইছে আর কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবস্থা আদালত বিনা পয়সায় করে দেওয়ার পরেও এ- রাজ্যর সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্র বাহিনী আটকানোর জন্য। সাধারণ মানুষকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

বহরমপুরের সাংসদের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, কমিশন, রাজ্য সরকার এবং শাসক দল মিলিতভাবে এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত৷ অধীর চৌধুরী কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র চলছে৷ এই ষড়যন্ত্র পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার দিন থেকে আজ পর্যন্ত চলছে৷ তৃণমূলের ক্রীতদাসকে নির্বাচন কমিশনার পদে বসানো হল৷ এমন ভাবে নির্বাচন ঘোষণা করা হল যাতে বিরোধীরা অপ্রস্তুত অবস্থায় থাকে, মনোনয়ন জমার জন্য পর্যাপ্ত সময় না পায়৷’

অধীর চৌধুরীর আরও অভিযোগ, ‘বিভিন্ন প্রেসে ডবল ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে৷ সেই ব্যালট পেপার নির্বাচনের দিন বুথ থেকে স্ট্রং রুমে যাওয়ার পথে পরিবর্তিত হবে। এই ষড়যন্ত্রে অংশ নিতে রাজি না হওয়ায় পুরুলিয়ায় তিনজন আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বাংলায় এক ভয়ঙ্কর কারচুপি খেলা খেলছে এই তৃণমূল দল। এখানে নকল ব্যালটের সাহায্যে জনমতকে পরিবর্তন করা হচ্ছে৷ এভাবেই নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে চাইছে শাসক দল৷ আগামী দিনে বাংলার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে চাইছে তারা৷’ রবিবার সালারের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সভামঞ্চ এভাবেই বোমা ফাটালেন সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী।