অবতক খবর : গত শুক্রবার ইডি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমুল নেত্রী সায়নী ঘোষকে জিঞ্জাসাবাদ করেছিল। আগামী বুধবার ,৫ জুলাই ফের সায়নীকে তলব করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এমন আবহে তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভোট প্রচারে দেখা যাচ্ছে না সায়নী ঘোশকে। এই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইডির জিঞ্জাসাবাদের নোটিশ আসার দু’দিন আগে থেকেই প্রচারে অমিল ছিল সায়নী। একইভাবে রবিবাসরীয় ভোট প্রচারে নেই সায়নী ঘোষ। আর এই কারণেই সাসক শিবিরের অন্দরে তৈরি হোয়েছে চাপানউতোর। শাসক দলের অন্দরেই প্রশ্ন, তবে কি ইডির তলবের জন্যই সায়নীকে পঞ্চায়েত প্রচার থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল? নাকি দলের কাছে সায়নীই কিছু সময় চেয়ে নিয়েছেন প্রচারে না থেকে?

রবিবার তৃণমূলের তরফে ভোট প্রচারকদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নাম নেই এই অভিনেত্রীর। যদিও সায়নী জানিয়েছেন, তিনি যুব সভানেত্রী। প্রচারে তাই যাবেনই। কিন্তু পঞ্চায়েতের প্রচার যেহেতু কলকাতায় নয়, জেলায়, তাই কিছু বিষয় দেখে নিতে হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তিনি পঞ্চায়েতের প্রচারে অংশ নেবেন বলেও জানিয়েছেন।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগ সূত্রে তাঁকে তলব করেছিল ইডি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগ সূত্রে তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গয়েন্দা সংস্থা।ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, সায়নী অনেক প্রশ্নের উত্তর ঠিক মতো দিতে পারেননি। অনেক নথিও পেশ করতে পারেননি। সেসব নিয়ে তাঁকে ফের ডাকা হয়েছে।

জানা যাচ্ছে,  ইডি আধিকারিকরা সায়নী ঘোষকে কুন্তল ঘোষের তাঁর আর্থিক লেনদেন নিয়েই প্রশ্ন করেছেন। কুন্তলের দেওয়া গাড়ি চড়া কিংবা তাঁর টাকায় সায়নীর ফ্ল্যাট কেনা নিয়ে যেসব তথ্য ছিল ইডির কাছে, সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব চান তদন্তকারী আধিকারিক। সকাল থেকে রাত, টানা ১১ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ১০টা ৪৫ নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতর থেকে বেরিয়েছিলেন যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।