অবতক খবর,১৯ এপ্রিলঃ বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

মুকুল কোথায়?

আমার মজা লাগছে। যিনি বাংলার চাণক্য, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । তিনি নাকি হারিয়ে গেছেন? তিনি কি বাচ্চা ছেলে? মুখে চুসি কাঠি নিয়ে ঘুরে বেড়ান? ছেলে বলছে, বাবার হাতে ৫০ হাজার টাকা আছে। খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না, কি করে জানা গেল টাকা আছে? আমার মনে হয়, বাড়ির লোকের অত্যাচারে উনি বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। উনি বাড়িতে খুব কষ্টে ছিলেন। ছেলে অত্যাচার করে। দলের কাছেও তিনি খুব সুখী নন। পীযুষ কানোরিয়ার নাম আসছে। ওনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কি সম্পর্ক জানিনা। আমাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। দায় আমাদের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। এমন ভাব করা হচ্ছে, কেউ কিছু জানেনা। কি কাজ করছে পুলিস? বঙ্গভবনে বাহাত্তর জন রাজ্য পুলিস আছে। তারা কি ভ্যারেন্ডা ভাজে?

জিতেন তেওয়ারিকে উত্তর প্রদেশ থেকে ধরে আনতে পারো, আর মুকুল রায় কোথায় তা জানোনা? বাংলার লোক কি এতোই বোকা? ওনার মাথার ঠিক নেই, মনের ঠিক নেই। তাই উনি কোথায় আছেন, তার দায় পরিবারের। সেখানে বিজেপিকে ঢোকান হচ্ছে কেন? এগুলো কি ধরনের মামদোবাজি? আগেও মুকুল বলত, এই তো, অমিত শাহ এর সঙ্গে কথা হল। আর কৈলাশ বিজয়বর্গীর সঙ্গে ওনার দোস্তি আছে। বিশেষ বিমানে ওনাকে হায়দরাবাদ নিয়ে গিয়ে চিকিতসা করিয়েছিলেন কৈলাশ।

ওনার ছেলে বলছে ট্রিটমেন্ট করতে হবে। এতোদিন করেন নি কেন? কেউ ওনার খোঁজ নেয়না। ওনাকে একটা কমিটির চেয়ারম্যান করা হল। সেই কমিটির কি হল? উপড়ে ফেলে দেওয়া হল। *আমরা এইসব আবর্জনা চাইনা। তাই আমাদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার না করে, পরিবার ওনার খেয়াল রাখুক।

অভিষেকে সিবিআইয়ের শমন ইস্যু-

যারা ফাঁসি যাবো বলছেন, তারা সিবিআই ডাকতেই প্যান্ট ঢিলে হয়ে যাচ্ছে কেন? যদি আপনি কনফিডেন্ট হন, যান একবার। বুক ফুলিয়ে যান। চা খেয়ে চলে আসুন। যাচ্ছে না মানে কিছু গড়বড় আছে। কেষ্টকে দশবার ডাকা হয়েছিল। যাননি। একাদশবার গেলেন, ভিতরে ঢুকে গেলেন। পার্থ, মাণিক সবাই তাই হয়েছে। এগুলো দেখে ভয় পাচ্ছেন? অনেকে অনেক ডায়লগ দেয়। কেউ গান্ধি হতে চায়। কেউ সাভারকর হতে চায়। রাহুল গান্ধি বলেছিলেন, আমি ক্ষমা চাইব না। লাস্টে কোর্টে গিয়ে আপিল করতে হয়েছে। এরকম বিপ্লবী আমরা অনেক দেখেছি। ফাঁসি তো দূরের কথা, জেল শুনলেই মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

ভাঙড়ে কি জ্বালানো হল?

আমি সিবিআইকে বলেছিলাম, আপনারা চোখ কান খোলা রাখবেন। রাস্তায় নথি টাকা পড়ে থাকতে দেখা যাবে। ওনারা ভেবেছিলেন, সিবিআই বোধহয় ক্ষান্ত হয়ে গেছে। এবার সিবিআই এর হাত যে কোথায় কোথায় পৌচাবে, ধারনা নেই। পুরনো নথির পর দেখবেন বাড়িতে বাড়িতে পুরনো নোট পরে আছে। লাখ টাকার মোবাইল ফোন যদি পুকুরে ছুঁড়ে ফেলতে পারে, এতো মাত্র নথি। সিবিআই যা শুরু করেছে, অনেক কিছু বেরোবে।

অমর্ত্য ইস্যু-

উনি জানেন, উনি বেআইনি ভাবে আছেন। এক দু কাঠা জমিটা ফ্যাক্টর না। যাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তিনি বাংলার আইকন। তার নাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জল খান। ওনার আর পাওয়ার কিছু নেই। বয়স হয়েছে। ভোগ করারও কিছু নেই। তাহলে কেন এক টুকরো জমি নিয়ে নিজেকে ছোট করছেন। কেন অসম্মানিত হচ্ছেন। ওনার বিশ্বভারতীকে বলা উচিৎ ছিল, আপনারা আসুন। মেপে জমি নিয়ে নিন। উনি মুখ্যমন্ত্রীকেও ইনভল্ব করেছেন। যেখানে দুর্নীতি, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী। একটা নেক্সাস তৈরি হয়েছে। বাংলার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।