অবতক খবর,১৪ ডিসেম্বর,মালদা- মালদা জেলায় এখনো প্রায় 4 লক্ষ 13 হাজার মানুষ করণা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেননি। । সাধারন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ও ভ্যাকসিন এর মাত্রা দ্রুত সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য দপ্তর উদ্যোগে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টিকা এক্সপ্রেসের মাধ্যমে জেলার গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। মালদা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে 15 ই ডিসেম্বর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে আগামী 15 ডিসেম্বর থেকে মালদা জেলার হবিবপুর ,ও গাজোল ব্লকে , টিকাএক্সপ্রেস এর মাধ্যমে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মালদা জেলার হবিবপুর ও গাজোল ব্লক টিকা নেওয়া থেকে পিছিয়ে রয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরে পক্ষ থেকে তাই এই দুটি ব্লকে প্রথম পর্যায়ে চালু করা হচ্ছে টিকা এক্সপ্রেস।

মালদা জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় হাট বাজার, বাস স্ট্যান্ড, সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা টিকা এক্সপ্রেসের গাড়ি নিয়ে হাজির হবেন। সেখানে টিকা নিয়ে প্রচার করা হবে। টিকা দেওয়া হয়নি তাদের সেখানে ডেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা দিবেন। ভ্রাম্যমান টিকাকেন্দ্রে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থাকবে। জাতীয় স্তরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে।
মালদা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে প্রায় 25 লক্ষ মানুষের প্রথম ভ্যাকসিন সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন 9 লক্ষ মানুষ। দ্বিতীয় ডোজের সময় হয়ে এখনও 4 লক্ষ 13 হাজার মানুষ ভ্যাকসিন নেননি।
মালদা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ডেপুটি cmoh 3 ডাক্তার সব্যসাচী চক্রবর্তী জানান সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা থাকার জন্যই এখন অব্দি অনেকেই ভ্যাকসিন নেননি। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ,কালিয়াচক 1 ,2, 3, হবিবপুর গাজল, ব্লকে ভ্যাকসিনেশন অনেকটাই কম হয়েছে। প্রতিটি মানুষকেই ভ্যাক্সিনেশন নিতে হবে এটাই জরুরি। 15 ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে টিকা এক্সপ্রেস কর্মসূচি। পিছিয়ে পড়া ব্লগগুলিতে টিকাকরণ কর্মসূচিকে আরো জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায় মালদা জেলায় 29,53,308 টিকাকরণ কর্মসূচি লক্ষ।
যার মধ্যে প্রথম ডোজ 25,40,191 ও দ্বিতীয় ডোজ 9,72,2349 টিকা ইতিমধ্যে হয়েছে।
আজকের তারিখ অব্দি দ্বিতীয় ডোজের সময় এলো এখনো ভ্যাক্সিনেশন নেননি প্রায় 4,13 হাজার মানুষ। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এই বিষয়ে টিকাকরণ কর্মসূচি সফল করতে বিশেষ সচেতনতা উপরে প্রচারে নামবে।