হক জাফর ইমাম :: মালদহ ::    মালদা জেলার আম ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগরের স্বাদ কার্যত ভারত বিখ্যাত। মালদা জেলাজুড়ে বিঘার পর বিঘা জমি জুড়ে শুধু আমবাগান। তাই এখানকার প্রধান অর্থকারী ফসলই হল আম। সেই মালদার আমেরই স্বাদ এবার পাবে না বাঙালী। সম্ভবনা অন্তত এমনই। কারণ লকডাউনের ফলে মালদা জেলার অর্থকরী ফসল আমের পরিস্থিতি খুবই খারাপ।

আমের মুকুল গাছেই শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে। ফলে মালদার আমচাষীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে। কিন্তু লক ডাউনের সঙ্গে আমের সম্পর্ক কোথায়? এর উত্তরে আমচাষীরা জানান, আমের মুকুল পরিচর্চা করার সময় এখন। যেহেতু এই বছর আমের অন ইয়ার তাই এবছর মুকুল ভালো হয়েছে। চাষীরা আশা করেছিলেন ফলন ভালো হবে, লাভের মুখ দেখবেন তারা। কিন্তু লকডাউনের ফলে সেই সম্ভবনা কার্যত শিকেয় উঠেছে। ঋণ নিয়ে চাষীরা আম চাষ করেছিলেন। আম পরিচর্চা সহ তা জীবানু মুক্ত করতে মার্চ -এপ্রিল মাসে আমগাছে স্প্রে সহ জল দিতে হয়। কিন্তু লকডাউনের ফলে তা করা যাচ্ছে না। যে কারণে আমের মুকুল শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে। এমন পরিস্থতির জন্য শুধু মালদাবাসী নয় আম বাঙালীর আমের সুস্বাদ থেকে এ বছর বঞ্চিত হতে চলেছে।

মালদা জেলার আম ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারক উজ্জল সাহা জানান, মালদার আমের পরিস্থিতি ভালো নয়। এই সময় ব্যবসায়ীরা আমের ফলন দেখে দরদাম করে তা আমচাষীদের কাছ থেকে কিনে নেয়। কিন্তু লকডাউনের ফলে এবারে না আমের যত্ন হচ্ছে না আমের ক্রেতার দেখা মিলছে। যে টুকুও বা গাছে আম আসবে তা আর মানুষের পাতে গিয়ে পৌঁছাবে না। বিদেশেও মালদার আম রপ্তানি করা সম্ভব হবে না। আমকে প্রক্রিয়াকরণ করে যারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প করেন, তারাও ক্ষতির মুখে। আমস্বত্ত্ব তৈরি করে গ্রামের মহিলারা যারা যৎসামান্য উপার্জন করে তারাও ক্ষতির মুখ দেখবেন এইবছর।