অবতক খবর: কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিল বিরোধী শিবির। বুধবার সকালে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। সাংসদ এই প্রস্তাব এনে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। সকাল ১১টায় সংসদের অধিবেশন শুরু হলে স্পিকার এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সংসদীয় নিয়ম অনুসারে, অন্তত ৫০ জন সাংসদ প্রস্তাবের পক্ষে থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কোনও একটি দিনকে বেছে নেওয়া হতে পারে আলোচনার জন্য।

এদিনই বৈঠকে মিলিত হন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। তবে এই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। আজ, সকাল ১০টা নাগাদ লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারী সংসদীয় নেতা গৌরব গগৈ বিজ্ঞপ্তি দেন। এদিন অধিবেশন শুরু হলে স্পিকার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

নিয়ম বলছে, প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত কারা তা জানতে সাংসদদের উঠে দাঁড়াতে বলা হবে। মাথা গোনা হিসেবে যদি দেখা যায়, পঞ্চাশের কম সাংসদ প্রস্তাবের সপক্ষে রয়েছেন, তাহলে তা তখনই বাতিল হয়ে যাবে। যদি সংখ্যাটি পঞ্চাশ বা তার বেশি হয়, তাহলে প্রস্তাবটি গ্রহণ করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে একটি দিন স্পিকার বেছে নিতে পারে এই নিয়ে আলোচনার জন্য। ইতিমধ্যেই বিআরএস তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির তরফেও একটি পৃথক অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মণিপুরে লাগাতার তিন মাস ধরে চলা জাতিগত হিংসা এবং দুই মহিলাকে ধর্ষণ করে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনা ঘিরে দেশ উত্তাল। কেন এই অবস্থা উত্তর-পূর্ব ভারতের এরাজ্যে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জবাব দিতে হবে। এই দাবিতে সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই সরব বিরোধীরা। গত সোমবার বিরোধী সাংসদরা ধর্না দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও সংসদে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দেননি। কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতে অবশেষে আনা হল অনাস্থা প্রস্তাব।