অবতক খবরঃ মণিপুরে বিরোধিদের দাবিকে উড়িয়ে দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জল্পনাকে খারিজ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। রবিবার তাঁকে দিল্লিতে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠক শেষে টুইট করে তিনি জানান, মণিপুরের পরিস্থিতি সামলাতে ‘সক্ষম’ কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বীরেন সিং জানান, ১৩ জুন থেকে সে রাজ্যের হিংসায় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

ইতিমধ্যে বিরোধী দলগুলির একাংশের তরফে বার বার এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে, বীরেন সিংহের নেতৃত্বাধীন সরকার মণিপুরের জনগণের আস্থা হারিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবিতে সরব হয়। গত শনিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির সম্ভাবনার বিষয়টি খারিজ করে দেন শাহ। ওই বৈঠকে রাজ্যের বিজেপি সরকারের ওপরেই আস্থা রাখার উপরে জোর দেন শাহ। রবিবারের বৈঠক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং টুইটে লেখেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, রাজ্যে শান্তিপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশে আমরা যেন আমাদের কাজকে আরও শক্তিশালী করি।”

অন্য দিকে, নতুন করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মণিপুর সরকার। ওই বিঞ্জপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যে আরও পাঁচ দিন, অর্থাৎ আগামী ৩০ জুন, বিকেল ৩টে পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। শনিবার সারা দিন মণিপুরে বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তির খবর সামনে এসেছে। জনতা- সেনার সংঘর্ষেড় সময় সামনের সারিতে ছিলেন মহিলারা। এক জায়গায় সেনাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় বন্দিদের মুক্তির দাবিতে সেনাদের ঘেরাও করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে, রাজ্যে বিক্ষোভে মহিলাদের ভূমিকা আলাদা করে নজর কাড়ছে। এর আগে মহিলাদের প্রতিরোধের মুখে কখনও আটকে পড়েছে সেনাবাহিনীর গাড়ি, কখনও ফিরে আসতে হয়েছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলকে। সেনার গাড়ির সামনে কয়েকশো মহিলা বসে পড়ে তাদের আটকে দিয়েছে কিছু দিন আগেই। অস্ত্র লুটের তদন্তে যাওয়া সিবিআইয়ের দলকে একই ভাবে মণিপুর পুলিশ ট্রেনিং কলেজে ঢুকতে দেননি প্রায় দু’হাজার মহিলা। মহিলাদের প্রতিরোধের মুখে বারে বারে পরতে হচ্ছে সামরিক বাহিনীকে।