অবতক খবর,৫ এপ্রিল,মলয় দে,নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হলেও শান্তিপুর থেকে টানা 2 ঘন্টার সড়ক পথ পেরিয়ে হিজুলি মুসলিম পাড়া গঙ্গা ঘাট। সেটা পার হলে অবশেষে দেখা মিলবে মানিক নগর গ্রামের। পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত হলেও প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রিত হয় সুদূর 13 কিলোমিটার দূরের ফুলিয়া ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিস থেকে। পঞ্চায়েত গয়েশপুর যেতে গেলেও নদীপথ পেরোনোর পেরিয়ে লাগে ঘন্টাখানেক।

গ্রামের অধিবাসীদের বার্ধক্য, প্রতিবন্ধী, বিধবা ভাতা বা অন্য যেকোনো সরকারি পরিষেবা পেতে এভাবেই সারাদিনের কাজ ফেলে ছুটে যেতে হয়। বর্ষার সময় নদীবক্ষে নানান সমস্যার সম্মুখীন হন তারা। তবে ইদানিং স্কুল কলেজে পড়াশোনা এবং চিকিৎসার ব্যাপারে কালনা এবং ধাত্রীগ্রামকেই বেছে নিয়েছেন তারা। তবে ভোটের কার্ড আধার কার্ড পরিচয় পত্র শান্তিপুরের হওয়ার কারণে বেশিরভাগ কাজের ক্ষেত্রেই হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যে পৌঁছাতে হয় অথবা প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাদের। এলাকাবাসীর বহুদিনের অভিযোগ তাদেরকে বর্ধমান জেলার অন্তর্ভুক্তি করানো হোক, এ ব্যাপারে দুই জেলার প্রশাসন এবং প্রাক্তন বিধায়কদের কাছে আবেদনপত্র পর্যন্ত জমা দেওয়া রয়েছে বলে জানা গেছে লেখা সূত্রে।

ভোটের আগে সব দলের প্রার্থী সেখানে পৌঁছলেও ভোটের পরে কারোর দেখা মেলে না সচরাচর। তবে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী জয়লাভের পর মনস্থির করেছিলেন দিনের পুরো সময় কাটাবেন তাদের সাথে শুনবেন দুঃখ-দুর্দশা এবং নানা সমস্যার কথা। স্থানীয় মানিকনগর ফেরিঘাটে রাস্তার উদ্বোধন করেন তিনি, ঘুরে দেখেন মানিকনগর মুসলিম পাড়ার বেহাল রাস্তার অবস্থা। স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীদের সাথে দেখা করে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। একটি উচ্চ বাতিস্তম্ভ এবং 50 মিটারের কিছুটা রাস্তা অবিলম্বে তিনি প্রস্তুত করার জন্য সচেষ্ট হবেন বলে জানিয়েছেন।