অবতক খবর,১০ জুলাইঃ এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে হত্যা,খুন, বোমা আতঙ্কে ভীত না হয়ে সোচ্চার প্রতিবাদে রুখে দাঁড়ালো গ্রাম বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের নারীরা। নারীরা ক্রমাগত লড়াইয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে তা দেখা গেল এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে। মনে পড়ে যাচ্ছে অতীতে যেখানেই জন সংগ্রাম সেখানেই রাষ্ট্রের অত্যাচারের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল নারীরা।

অবিভক্ত বাংলায় তেভাগা আন্দোলন, স্বাধীনতার পরবর্তী পর্যায়ে নকশালবাদীদের জমি দখলের আন্দোলন, সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনে নারীরা নিয়েছিল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। গ্রামবাংলায় এবার নিজেদের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে সংগ্ৰামী ভূমিকা নিলো নারীরা। লাঠি,ঝাঁটা হাতে তারা সচেষ্ট হয়েছে রাষ্ট্রীয় মদতে গেস্টাপো বাহিনীর সন্ত্রাস রুখে দিতে।

নদীয়ার বসন্তপুরে অবতকের ক্যামেরা যখন দুষ্কৃতীরা কেড়ে নিয়েছে তখন মহিলারা রুখে দিয়েছে সেই গেস্টাপো বাহিনীকে। বহিরাগতদের লাঠি হাতে তাড়া করেছে মহিলা গ্ৰামবাসীরা। দেখা গেছে, ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি বলে তারা সংসদীয় গণতন্ত্রকে তুড়ি মেরে ব্যালট বাক্সকে জলে ফেলে দিয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার সিন্দ্রানি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের পুষ্টিঘাটা গ্ৰামের ৭ নং বুথে ঘটেছে নারীদের প্রতিরোধের ঘটনা। বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা গিয়েছে গ্রামীণ নারীরা পুলিশের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। ভোট দিতে পারছেন না বলে সোচ্চার প্রতিবাদ জানিয়েছে। অর্থাৎ নারীরা মানুষের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে ক্রমশ প্রতিবাদী হয়ে উঠছেন।

তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন তার পরিচয় রেখেছে গ্রাম বাংলা। তারা বোমা বিস্ফোরণ, দুষ্কৃতীদের পিস্তলের গুলিকে রীতিমতো উপেক্ষা করে সামনের সারিতে এসে দাঁড়িয়েছেন।

নারী শক্তির জাগরণ ঘটেছে বাংলায়। বিদেশের সংবাদপত্রেও ছড়িয়ে পড়েছে এই সংবাদ।