অবতক খবর, নদীয়া: ১৮৬১ সালের ১৯ অক্টোবর নদীয়া জেলার শান্তিপুরে জন্মগ্রহণ করেন ভাষাচার্য ডঃ নলিনী মোহন সান্যাল । পূর্বপুরুষদের ভিত্তি ছিল শাস্ত্র ব্যবসা। তাঁর বাল্য জীবন অতিবাহিত হয় রাজ্যের বাইরে, আলিগড় জেলা স্কুলে বিদ্যালয় শিক্ষার শুরু হওয়ার পর দিল্লি আগ্রা কলেজের পাঠ শেষ করে পাটনা কলেজ থেকে এফ এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতায় আসেন এবং মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে বিএ এবং ১৮৮৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় এমএ পাস করেন। হিন্দি -উর্দু- তামিল- আরবি-ফারসি- জার্মান সমান দক্ষতার সাথে আয়ত্ত করেন পড়াশোনার ফাঁকে।

ব্যারাকপুর, টাকি ,কৃষ্ণনগর, পাটনা ,হাজারীবাগ সহ বহু বিদ্যালয় তিনি শিক্ষকতা করেন। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে প্রথম হিন্দি ভাষায় এমএ পাস করেন। ১৯৪২ সালে ৮২ বছর বয়সেও মৌলিক গবেষণা পত্র লিখে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ ডি সম্পন্ন করেন ভাষাচার্য ডঃ নলিনী মোহন সান্যাল। ভাষা সম্পর্কিত “ভারতবর্ষে লিপি বিদ্যার বিকাশ” “তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান কী উপক্রমণিকা” এবং “সুভদ্রাঙ্গী” “কন্নকী”নামক বিভিন্ন উপন্যাস লেখেন। ১৯৫১ সালের ৪ জুন এই মনস্বী জ্ঞানসাধক, ভাষা বিশারদ শান্তিপুরে নিজ বাসভূমিতে লোকান্তরিত হন।

তাঁরই পরিবারের যোগ্য উত্তরসূরী বিখ্যাত সাহিত্যিক, নদী গবেষক, প্রযুক্তিবিদ ,তপব্রত সান্যাল বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে ভারতবর্ষের বাইরে নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন শান্তিপুরের তার বাসভূমি সহ শান্তিপুরের বিভিন্ন গঠনমূলক চিন্তা ভাবনায়। তার বাসভূমিতেই ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা, সংগীত নৃত্য চর্চার বন্দোবস্ত করেন। ডক্টর নলিনী মোহনের আত্মীয়া বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ তাজীন আহমেদের আন্তরিক প্রচেষ্টায়, তপব্রত সান্যালের ব্যবস্থাপনায় শান্তিপুরের তাঁর নিজবাসভূমিতে আজ এক আবক্ষ মূর্তির স্থাপন করা হলো। উক্ত অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ভাষাবিদ সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।