অবতক খবর , রাজীব মুখার্জী, হাওড়া,১৪ই অগাস্ট :: করোনার আবহের জেরে দেশজুডে লকডাউন। এরইমধ্যে ভারত চীন সীমান্তে দুইদেশের উষ্ণ সম্পর্কের জের। এই দুইয়ের সাঁড়াশি চাপে চরম বিপাকে হাওড়ার উনসানীর পতাকা শিল্পীরা। কর্মহীনতায় ভুগছে এখানকার শিল্পীরা। তাই স্বাধীনতা দিবসের উৎসবের আগে সেই চেনা ব্যস্ততাও হারিয়েছে এখানকার শিল্পীরা।

এই বছরে নেই সেই পতাকা তৈরির ব্যস্ততা। এবারে নেই আগের বছরের মতো অর্ডার। স্বাধীনতা দিবসের আগে যে কারখানা চরম কর্ম ব্যস্ততায় মগ্ন হয়ে থাকতো। এই বছরে তা আজ নিস্তব্ধ। এই সময়ে অন্য বছরে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার ব্যবসা করতো এক এক জন পতাকা শিল্পীরা। এই বছরে সেই ব্যবসা ৩০% ছাড়ায়নি। এই বছরে পতাকার চাহিদায় ভাঁটা পড়েছে অভূতপূর্ব ভাবে। ফলে শ্রমিকদের মাইনে দিয়ে কানাকড়ি লভ্যাংশ ঘরে তুলতে পারেনি তারা।

এইভাবে চলতে থাকলে এই ব্যবসা কতদিন টিকিয়ে রাখতে পারবেন সেই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে। অন্যদিকে এখন থেকে পতাকা নিয়ে গিয়ে যারা ছোট ছোট দোকানে সাপ্লাই করেন। তারাও এই বছরে সেভাবে আসে নি। আগে যেখানে ১৫০-২০০ জন শ্রমিক কাজ করতো এবারে ৫-৬ জন নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। বেশি পরিমাণ পতাকা বানানোর ঝুঁকিটাও তারা নিতে চাইছেন না। আর এই লকডাউন কতদিন চলবে তা ভেবে এই বছরে ব্যবসা করতে পারছেন না তারা।
ফলে স্বাধীনতা দিবসের এই উৎসবে গোটা দেশ যেখানে মেতে ওঠে এবারে তা কতটা কার্যকর হবে সেই নিয়ে সন্দিহান তারা।

তাই চাহিদার টানাপোড়েন এবং ক্রেতার অভাবে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন এই পতাকা শিল্পীরা। শিল্পীরা জানাচ্ছেন করোনা আবহে লকডাউনের জন্য রাখি তৈরির কাঁচামাল কেনার সুযোগ তারা পান নি। সেই সঙ্গে ভাঙা ভাঙা লকডাউনের জন্য বিক্রির ব্যবস্থাও নেই এই বছরে। তাই বিক্রির পরিমান এক ধাক্কায় নেমে এসেছে ৩০%-৩৫% এ। আগে যেখানে ৫-৬ লাখের ব্যবসা হতো তাই নেমে এসেছে ৩০%। তাই কোভিড-১৯ ও লোকডাউন তাদের ব্যবসায় চরম সংকট তৈরি করেছে। সেই সমস্যা এখন এক চরম অন্ধকারের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে পতাকা ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যৎ।