অবতক খবর, ১৪ আগস্ট: কাঁচরাপাড়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে,মুদি সামগ্রীর দোকান সকাল ১১টার পরেও খোলা থাকছে। মুদি দোকানিরা অনেকেই কৌশল অবলম্বন করছেন। ‌তারা তাদের দোকানের ঝাঁপ অর্ধেক নামিয়ে দিয়ে তাদের ব্যবসা রীতিমতো চালিয়ে যাচ্ছেন। ‌ এদিকে পৌর প্রশাসন বা স্থানীয় থানা প্রশাসনেরও কোন নজরদারি নেই।

অন্যদিকে আরো দেখা যাচ্ছে যে, বিশেষ করে একটি দোকানের সম্পর্কে অভিযোগ আসছে যে,’দোকানটির নাম ‘নিউ চা স্টোর’ তিনি সমস্তরকমের দ্রব্যাদি বিক্রি করেন– যেমন বিস্কুট, পাউরুটি, চানাচুর এবং তার সঙ্গে দুধ। তিনি দুধের ফ্রিজটি সামনে রেখে তার দোকান সম্পূর্ণ খোলা রেখে দোকান চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে পার্শ্ববর্তী দোকানদাররা যারা বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রি করেন তাদের অসুবিধা হচ্ছে।

তাদের অভিযোগ, একই নিয়ম সবার জন্য লাগু হবে না কেন? তিনি যদি দুধ বিক্রির জন্য দোকান খোলা রাখেন তাহলে দুধের কাউন্টারটিকেই খোলা রাখুন। কিন্তু বাকি দোকান খোলা রাখছেন কেন? নিয়ম যদি হয় তাহলে সকলের জন্যই একইরকম নিয়ম লাগু থাকুক। তার দোকানের নাম তো ‘মিল্ক স্টোর’ নয়, তবে তিনি কিভাবে পুরো দোকান খোলা রাখছেন?

লক ডাউন পিরিয়ডে কেবলমাত্র তিনি উপার্জন করে যাবেন, অন্যরা বঞ্চিত হবেন, তা হতে পারে না। এ ব্যাপারে প্রচন্ড ক্ষোভ রয়েছে অন্যান্য দোকানিদের পৌর প্রশাসন এবং থানা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তারা কেন এরকম এক চক্ষুমূলক কার্যকলাপ করছেন এই দোকানদারের পক্ষে?ওই দোকানদারের এমন কি ক্ষমতা, এমন কি সাহস যে তিনি বারবার বলা সত্ত্বেও এইভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন?