অবতক খবর,২৩ জানুয়ারি : সামনে এল ভারতীয় নৌসেনার নতুন সাবমেরিন ‘বাগির’। সোমবার মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতে তৈরি বাগিরকে বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করল নৌসেনা। মুম্বইয়ের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা প্রধান আর হরিকুমার। ডুবোজাহাজ উদ্বোধন করার পরে তিনি জানান, গত দু বছরে এই নিয়ে তৃতীয় সাবমেরিন ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্য হল। বিশাল অস্ত্রভাণ্ডারের অধিকারী এই ‘বাগির’-কে ‘লিথাল প্ল্যাটফর্ম’ বলে উল্লেখ করেছেন নৌসেনা প্রধান। মহাসাগরে চিনকে টক্কর দিতে এই সাবমেরিনই হতে চলেছে ভারতের নয়া অস্ত্র।

ভারতীয় নৌসেনা জানিয়েছে, এই নিয়ে পঞ্চম সাবমেরিনের অধিকারী হল ভারত। ‘বাগির’ শব্দের অর্থ বালির হাঙর বা স্যান্ড শার্ক। নিজেকে লুকিয়ে প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করে নাস্তানাবুদ করতে উস্তাদ এই হাঙর। নেই বিন্দুমাত্র ভয়-ডর। নৌসেনা প্রধানের দাবি,নয়া সাবমেরিনও লুকিয়ে থেকে প্রতিপক্ষ মাত দিতে প্রস্তুত। সেই কারণেই এই নামকরণ। এই ডুবোজাহাজের শরীরে লাগানো রয়েছে একাধিক সেন্সর। এই সেন্সরের সাহায্যে বহু দূর থেকেই শত্রুপক্ষের অবস্থান বুঝে নিতে পারে এই সাবমেরিন। পাশাপাশি, শত্রুপক্ষের সাবমেরিনের ছোড়া টর্পেডোকে বিভ্রান্ত করারও ক্ষমতা রয়েছে বাগিরের। কালভারি শ্রেণির এই ডুবোজাহাজের বিশেষত্ব হল এর ইঞ্জিন। জানা গিয়েছে, ডিজেলচালিত এই ইঞ্জিন সহজেই বিভিন্ন অভিযানের জন্য দ্রুত ব্যাটারি রিচার্জ করতে পারে।

এর আগেও ভারতীয় নৌসেনার ‘বাগির’ নামের আরও একটি সাবমেরিন ছিল। যদিও সেই ডুবোজাহাজটি ছিল রুশ এবং স্পেনের যৌথ প্রযুক্তিতে বানানো। কিন্তু এই আইএনএস বাগির তৈরি করেছে মুম্বইয়ের সংস্থা মাজাগন ডক শিপবিল্ডার লিমিটেড। এই সাবমেরিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্রান্স থেকে আনা প্রযুক্তি। গত বছরই পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হয়েছিল এই জাহাজ। সেই পরীক্ষা সফল হয় বলে সূত্রের খবর। নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় নৌ বাহিনীর গোয়েন্দা হিসাবে কাজ করবে এই বাগির। শত্রুপক্ষের উপরে নজরদারি চালানো থেকে তথ্য সংগ্রহ সব বিষয়েই কাজেো লাগানো হবে নৌবাহিনীর নতুন শার্ক-কে।