অবতক খবর,৫ ফেব্রুয়ারি: পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় ঘটনা থেকে মুক্তি পেল বীজপুর। বীজপুরে এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ চরমে। কোন দলই এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়তে চায় না। গতকালই গোষ্ঠী কলহের একটি সংবাদ আমরা প্রকাশ করেছিলাম। বীজপুরে তৃণমূলের অবস্থা এখন অত্যন্ত সংকটজনক। কাউন্সিলরই এখন আক্রান্ত। আজ আমরা ফের গতকালের ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে আক্রান্ত নিতাই দাস জানান জানা, সিআইসি দিলীপ ঘোষ নাকি প্রথমে গায়ে হাত দিয়েছিলেন।

সেই থেকেই নাকি এই গন্ডগোল শুরু হয়েছে। শুধু গায়ে হাত দেওয়াই নয়, দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ উঠেছে। তিনি নাকি প্রকাশ্যে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিতে শুরু করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবককে। আর এই নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। গতকালের ঘটনার সমস্ত বিবরণ আমরা সংবাদে প্রকাশ করেছিলাম।

কাউন্সিলর দিলীপ ঘোষ কে ফোন করলে তিনি কিছু বলতে চাইলেন না। কিন্তু আজ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা জানতে পারি গতকাল রাত থেকেই প্রতিশোধ নেওয়ার একটা প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। গতকাল রাতে বহিরাগত কিছু ছেলেরা ১২ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে এলাকা গরম করার চেষ্টা করে। সূত্রের খবর,এক ছাত্রনেতা প্রচুর ছেলেদের জোগাড় করে নিয়ে ওই ওয়ার্ডে ঢোকে। তবে ১২ নং ওয়ার্ডের ছেলেরাও জবাব তৈরি ছিল দেবার জন্য। তবে সঠিক সময়ে বীজপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলে নেয়। ‌ তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ বহিরাগত যে ছেলেরা ওই ওয়ার্ডে গিয়েছিল তারা সকলেই মুখ বেঁধে গিয়েছিল এবং পুলিশ দেখেই তারা এদিক ওদিক পালিয়ে যায়। পুলিশের একটি বিশেষ দল পিসি পার্টির তৎপরতায় বড়সড় একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার থেকে রক্ষা পেল বীজপুর।

এই ঘটনায় মূলত ছোটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সে এখনো পলাতক। তবে ছোট নামে একজনকে পুলিশ আটক করে, কিন্তু পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,দীর্ঘদিন ধরেই কাঁচরাপাড়া পৌরসভায় সিআইসি পদে আসীন রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি তিনি একজন দলের সক্রিয় কর্মী। তাই অনেকেই মনে করছেন যে, তাঁকে দমানোর জন্যই হয়তো এই গন্ডগোলের সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাঁকে সিকিউরিটি দেওয়া হোক। এমনই বলছেন তাঁর অনুগামীরা।