অবতক খবর,১০ মে,নববারাকপুর : হিন্দু পুরাণ মতে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সত্যযুগের অবসান ঘটিয়ে ক্রেতা যুগের সুচনা হয়। অক্ষয় তৃতীয়া হলো চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথি, অক্ষয় তৃতীয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি, অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাসানুসারে এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে।

বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের জন্মদিন l বেদব্যাস ও গণেশ এই পুন্য দিনে মহাভারত রচনা আরম্ভ করেন। ভগবানের অঙ্গলেপন এক ধরণের ভক্তিমূলক কর্ম এবং চন্দন হল সর্বশ্রেষ্ঠ প্রলেপন। যেহেতু ভারতে বৈশাখ মাস অত্যন্ত উষ্ণ থাকে, তাই চন্দনের শীতল গুণ ভগবানের আনন্দ প্রদান করে। শুক্রবার সকালে বিশ্ব মাতা মন্দিরে জগন্নাথের দুই চক্ষু ব্যতীত সর্বাঙ্গে চন্দন লেপন করা হয়ে থাকে।

বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীসমীরেশ্বর বলেন বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘের শাস্ত্র অনুযায়ী ঠাকুরের গায়ে প্রচন্ড দাবদাহে শীতল হওয়ার জন্য তার গায়ে চন্দন লেপন করা হল।