অবতক খবর: সুপ্রিম কোর্টে চাপ বাড়ল ভারতের জাতীয় দলের পেসারের মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে। আগামী এক মাসের মধ্যে শুনানি মিটিয়ে ফেলার জন্য আলিপুর সেশন কোর্টকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তা না হলে স্থগিতাদেশের ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে আলিপুর সেশন কোর্ট গ্রেফতারির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ তুলে নিতে পারে এবং শামি বিশ্বকাপের আগেই গ্রেফতার হতে পারেন।

বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। সেই বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি পি ভি নরসীমা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ যাদবপুর থানায় প্রথমে শামির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ করেন হাসিন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি ওঠে আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে। তিনি ২০১৯-এর ২৯ অগস্ট শামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদন করে স্থগিতাদেশের স্বস্তি পান শামি। ২০১৯-এর ২ নভেম্বর পর্যন্ত শামির গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল।

গার্হস্থ্য হিংসা, বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক, ম্যাচ গড়াপেটা-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্ত্রী হাসিন জাহান। শামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছিল। পাল্টা আবেদন করে সেই রায়ে স্থগিতাদেশ পেয়েছিলেন ডানহাতি পেসার।
চলতি বছর অক্টোবর মাসে শুরু ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। দেশের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আগে আইনি মারপ্যাঁচে বিব্রত হতে পারেন, তার আগে মাস তিনেকও বাকি নেই। তার আগেই আইনি জটিলতায় ফেঁসে যেতে পারেন শামি। হতে পারেন গ্রেফতারও।

প্রথমে বলা হয়েছিল, কোনও অবস্থাতেই জাতীয় দলের ক্রিকেটার মহম্মদ শামিকে গ্রেফতার করা হবে না। তাঁর মামলা বিচারাধীন, এখনও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অর্থ হল, স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া। সে ক্ষেত্রে শামিকে গ্রেফতারও করা যেতে পারে।


তার পর চার বছরে সেই মামলা প্রায় কিছুই এগোয়নি। কোনও শুনানিও হয়নি। যে কারণে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাসিন। দ্রুততার সঙ্গে যাতে মামলাটি এগনো হয়, সে বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন হাসিন। কলকাতা হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে হাসিনকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। তারপরই সুপ্রিম কোর্ট চাপে শামি।