অবতক খবর,২৭ মে: যশ ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কথা ছিল ২৬শে মে। সেই প্রস্তুতিই নেওয়া ছিল বঙ্গবাসীর। কিন্তু কে জানত,যশের আগেই আরো এক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় এসে লন্ডভন্ড করে দেবে বীজপুরের হালিশহর! ২৫শে মে দুপুরে হাজিনগরে কয়েক সেকেন্ডের টর্নেডোতে স্তব্ধ হবে মানুষের জীবনযাত্রা! এই টর্নেডো বিদেশে দেখা যায়। কিন্তু এখানেও যে সেটা হতে পারে তা কল্পনাতীত মানুষের। এই টর্নেডোতে হালিশহরের ১৭,১৮,১৯,২০,২১ এবং ২২ নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাড়ি ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে।উড়ে গেছে অধিকাংশ বাড়ির টিনের চাল। উপড়ে গেছে গাছ,ভেঙে পড়েছে লাইট পোস্ট।

কিন্তু সবকিছুর জন্য যে প্রস্তুত ছিলেন বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী,তা সেইদিনই প্রমাণিত হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই তিনি ঘটনাস্থলে পাঠান পৌর প্রশাসক রাজু সাহানী সহ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ক্ষতিগ্ৰস্তদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ছুটে আসেন বিধায়ক সুবোধ অধিকারী,যুব নেতা কমল অধিকারী,রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য্য সহ অন্যান্যরা। মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে তাদের থাকা, খাওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়। এমনকি যেখানে যেখানে তারা রয়েছেন সেখানে নিয়মাফিক স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাও করা হয়।

এ প্রসঙ্গে সুবোধ অধিকারী বলেন,আমরা কোনকিছু নিয়েই কোন গাফিলতি করতে চাই না। যেদিন যশ‌ আসার খবর আমি পাই, তারপরেই জরুরি বৈঠক করে সমস্ত ব্যবস্থা করে ফেলা হয়। আগাম প্রস্তুতির কারণেই টর্নেডোর পর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতে পেরেছি। প্রকৃতির ধ্বংসলীলা থামানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। কিন্তু টর্নেডো অন্যদিকে অগ্ৰসর হতেই আমরা দ্রুত রেসকিউ টিম পাঠিয়েছি। দ্রুত গাছ কেটে,বৈদ্যুতিন পোস্ট মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।‌

বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী,বৈদ্যুতিক বিভাগ,জল বিভাগ,পৌর কর্তৃপক্ষ থানা প্রশাসন সহ সাধারণ কর্মীদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন,তাদের সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য।

অন্যদিকে মানুষকে অবাক করে দেওয়ার বিষয় হল, তিনি অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের জন্য যে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তা প্রশংসনীয়। এর জন্য মানুষ অত্যন্ত খুশি। টর্নেডোর দিন রাত থেকে এখনো পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলিতে তিনবেলা সুষম খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। কারণ সেখানে বড়দের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে অনেক শিশুও।

সুবোধ অধিকারীর এই পরিষেবায় অত্যন্ত খুশি আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষ তো বটেই সাধারণ মানুষও। তারা নিরাপদ আশ্রয়ে তো রয়েছেনই,সেই সঙ্গে তাদের সমস্তরকম সুবিধা অসুবিধার খেয়াল রাখা হচ্ছে।‌