অবতক খবর,বাঁকুড়াঃ  বিভিন্ন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে প্রশাসনকে বালি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়া, অবৈধভাবে বালী খাদান এবং কয়লা খাদান থেকে উত্তলন নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তূ ওই নির্দেশের পরেও যে রাজ্য প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি তা ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল । বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার নারায়নপুর পঞ্চায়েতের পাঁচ পাড়া গ্রামে বালি খাদানকে কেন্দ্র করে অশান্তির আচ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাইছে না । ফের বালি খাদানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরী হল পাঁচপাড়া এলাকায় । মাস খানেক আগেও এই একই বালি খাদানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল । গ্রামে সেই রেশ কাটতে না কাটতে ফের উত্তেজনা । পুলিশের সাথে গ্রামবাসীদের বাকবিতন্ডা তৈরী হয় ।

গ্রামবাসীদের দাবি, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বালি মাফিয়ারা পাঁচপাড়া এলাকার দামোদর নদী থেকে বালি তুলছে । ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গ্রামবাসীদের । আর সে কারণেই গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে অবৈধ বালি খাদানটিকে বন্ধ করে দেয় । তারপরেও বালি খাদান এ যাবার জন্য অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছিল একটি একটি রাস্তা , সেই রাস্তার উপরে গ্রামবাসীরা একটি বাঁধ নির্মাণ করে বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা ।

মঙ্গলবার ওই বাঁধ ভাঙার জন্য চেষ্টা করলে সকাল থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাত্রসায়ের থানার পুলিশ । পুলিশকে ঘিরে গ্রামের সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এবং পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীরা বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে । এই মুহূর্তে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী ।

গ্রামবাসীদের একাংশ বলেন, এই বাটে ভাঙ্গা হলে সমস্যায় পড়তে হবে গ্রামবাসীদের একটু বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে যায় ফলে ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারবে না, তাই বালি মাফিয়ারা বাঁধ ভাঙতে এলে আমরা সেই বাঁধ ভাঙতে দিই না ।

এ বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবু দিগার বলেন, পাঁচপাড়ায় যে বাঁধ হয়েছে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য গ্রামবাসীরা তৈরি করেছিল । বালি মাফিয়ারা বাঁধ ভাঙতে এসেছিল সেটা নিয়েই আজকের এই ঝামেলা তৈরি হয়েছে । বালি খাদান বহুদিন ধরেই অবৈধভাবে চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন । গ্রামবাসীরা এর আগেও অভিযোগ জানিয়েছে কিন্তু প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি । বালি মাফিয়াদের সঙ্গে প্রশাসন যুক্ত রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন । বিভিন্ন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে প্রশাসনকে বালি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়া, অবৈধভাবে বালী খাদান এবং কয়লা খাদান থেকে উত্তলন নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তূ ওই নির্দেশের পরেও যে রাজ্য প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি তা ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল ।