অবতক খবর,২০ আগস্ট,বাসন্তী: রাজ্যে ফের তৃণমূল কর্মী খুন। এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী। বাজার করে ফেরার পথে গুলি এবং পরে কুপিয়ে খুন করা হয় ওই তৃণমূল কর্মীকে। কে বা কারা তাঁকে খুন করল, তা নিয়ে চলছে আকচাআকচি। বিরোধীদের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বলি ওই তৃণমূল কর্মী। তবে শাসকদলের বক্তব্য, খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।জানে আলম গাজি নামে বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবেই পরিচিত। ভরতগড় এলাকার বাসিন্দা তিনি।

শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসন্তী বাজারে গিয়েছিলেন জানে আলম। বাজার সেরে বাড়ি ফেরার সময় ওই তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল কর্মী। সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যান। দৌড়ে এসে বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করেন। তাঁকে নিজে যাওয়া হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে ওই তৃণমূল কর্মীর।

কে বা কারা ওই তৃণমূল কর্মীকে খুন করল, তা নিয়ে তীব্র চাপানউতোর। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়কের। যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন ওই তৃণমূল কর্মী। তিনি আরও বলেন, “এই সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন রাজ্যে খুনখারাপি লেগেই থাকবে।”উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৩ আগস্ট উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বাসতোপ গ্রামে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। রায়গঞ্জ থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। দলীয় কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক মোশারফ হোসেন।

তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিবাদেই খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। পুলিশ সুপার সানা আখতারের দাবি, খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। এক অভিযুক্তকে চিহ্নিতও করেছে পুলিশ।