অবতক খবর,২২ মে: দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকলেও, গত দুটি লোক সভায় রাজধানীর একটি আসনও জিততে পারেননি আম আদমি পার্টি। তাই এবার কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আসন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন দিল্লির ক্ষমতায় থাকা আম আদমি পার্টি।

ভোট মরশুমে বিজেপিকে চাপে রাখতে আজ নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহ -বনাম আদিত্যনাথ শিবিরের মধ্যে “বিভেদ” উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আদিত্যনাথের উদ্দেশ্যে বললেন,
তার আসল শত্রু নাকি ঘরেই আছেন।আর -অমিত শাহের জন্য তিনি দিলেন করা বার্তা। এবারের নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হতে চলেছে। ফলে পাঁচ বছর বাদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যে সুপ্ত বাসনা তার মনে রয়েছে, তা কখনই পূরণ হওয়ার নয়।

দিল্লির ক্ষমতা থাকলেও গত দুটি লোকসভায় রাজধানীর একটি আসনও জিততে পারেনি আর আম আদমি পার্টি। এ বার কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দিল্লিতে আসন পেতে মরিয়া দিল্লির ক্ষমতায় থাকা আম আদমি পার্টি। অন্য দিকে, দিল্লির আসন ধরে রাখতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি।
গতকাল দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ দিল্লি সরকারের দুর্নীতি ও কেজরিওয়ালের অপশাসনের অভিযোগে সরব হন।

আজ সাংবাদিক বৈঠকে পাল্টা চালে কেজরী যোগী কে আক্রমণের পরিবর্তনে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ” অত্যন্ত বিনিয়ের সঙ্গে আদিত্যনাথকে বলতে চাই যে আপনার শত্রু আপনার দলেই রয়েছে। ” লোকসভা নির্বাচনের পরেই নরেন্দ্র মোদী – অমিত শাহ আপনাকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছেন। আমার বদলে আপনি আগে ওদের সামলান।”

সম্প্রতি অন্তরবর্তী যামিনে মুক্তি পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

মুক্তি পাওয়ার পরেও একই দাবি করে চলেছেন। তাঁর কথায়, যেভাবে লাল কৃষ্ণ আডবাণী, মুলিমনোহর জোশী, শিবরাজ সিং চৌহান, বসুন্ধরা রাজে, মনোহরলাল খট্টর রাজনৈতিক জীবন কার্যতর শেষ করে দেওয়া হয়েছে, ঠিক সেভাবেই আদিত্যনাথের রাজনৈতিক জীবন ও শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন মোদী-সাহ জুটি।

কেজরী ওয়ালের কথায়, “নরেন্দ্র মোদীর মিশন হল ____এক দেশ, এক নেতা।”

বিজেপির শিবিরে অধিকাংশ নেতাই ঘরোয়াভাবে শিকার করেন যে মোদির পরে দলে প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে যোগ্য আদিত্যনাথ। একে উত্তর প্রদেশের মত বড় রাজ্য পর পর দু-বার জিতে আসছেন তিনি। উত্ত
উপরন্ত তিনি সংঘ ঘনিষ্ঠ। ফলে গেরুয়া শিবিরের বড় অংশ তাকে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।
যদিও এ বিষয়ে অভিমত প্রকাশ করে দলের অন্য একটি অংশ মনে করে মোদী উত্তরসূরী হিসেবে অমিত শাহ কে চান।
যদি তা সত্য হয়, সেক্ষেত্রে আগামী দিনে দলে বড় মাপের বিরোধ হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে।
কেজরিওয়াল ভোটের মরশুমে সেই বিষয়টি উস্কে দিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে চাইছেন।