অবতক খবর,১৭ নভেম্বরঃ কয়লা পাচার এবং সোনা পাচার থেকে নিজের ভাইপো আর তার বউকে বাঁচাতে গোটা রাজ্যে মানুষকে বাজি ধরে দিয়েছেন কেন্দ্রের কাছে এমনটাই দাবি বাম নেতা মোহাম্মদ সেলিমের

ঠাকুরনগরে সারাভারত কিষান ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের সমাবেশে এসে বাম নেতা মোঃ সেলিমের বিতর্কিত মন্তব্য,চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ কামরানো প্রসঙ্গে বলেন,একসময় গ্রামগঞ্জের মানুষ বলতেন কলকাতার রাজপথে ন্যেড়ি কুত্তা রয়েছে যারা বিভিন্ন সময়ে গ্রামগঞ্জে থেকে মানুষ কলকাতা গেলে কামড়ে দিত।চাকরি প্রার্থীদের উপর পুলিশের কামড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে ন্যেরি কুত্তার সাথেই তুলনা করেন পুলিশকে বাম নেতা মোহাম্মদ সেলিম।

সিএএ নামে ডাল কুত্তা ছেড়ে দিয়েছে এমনটাই মন্তব্য মোঃ সেলিম। তিনি বলেন,মানুষ যখন বলে কাজ কোথায়? চাকরি কোথায়?মানুষ বলে আমাকে বাঁচাও।ঠিক তখনই তাদের ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য সিএএ এর নাম করে নাগরিকত্ব দেবার নাম করে সেই সময় মোদি বলে আমি বাঁচাবো,মমতা বলে আমি বাচাবো।তাই মানুষকে এই ধরনের চাওয়া থেকে ঘুরিয়ে দিতে সিএএ এর নামে ডাল কুত্তা ছেড়ে দিয়েছে এমনটাই মন্তব্য বাম নেতা মোহাম্মদ সেলিমের।

কখনো বিভিন্ন সমীক্ষার নামে,আবার কখনো দুয়ারে সরকারের নাম করে সমস্ত তথ্য তুলে দিচ্ছেন।কয়লা পাচার এবং সোনা পাচার থেকে আসলে নিজের ভাইপো আর তার বউকে বাঁচাতে গোটা রাজ্যে মানুষকে বাজি ধরে দিয়েছেন কেন্দ্রের কাছে এমনটাই দাবি বাম নেতা মোহাম্মদ সেলিমের।

সিএএ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাম নেতা মোঃ সেলিম বলেন,ভোট আসলে কেন বলছে অন্য সময় বলছে না কেন?একবার শুভেন্দু বলছেন গিয়ে দেখা করেছেন এই হবে,একবার শান্তনু ঠাকুর বলছেন গিয়ে দেখা করেছি এই হবে।সিএএ আইন তো পাশ হয়েছে তাহলে এত দেরি কেন?আইন সংশোধন করা হয়েছে সেটা এখানকার মতুয়াদের জন্য নয়।আইন যেটা পাস হয়েছে সেটা আমাদের দেশে ১৯৫৫ সালে নাগরিকত্ব দেবার জন্য কোন বাঁধা নেই।সিএএ আইন পাশ হয়েছে একটা রুল ফ্রেম করতে মাত্র ৬ মাস সময় প্রয়োজন তাহলে কেন এত দেরি হচ্ছে?এটা শুধুমাত্র দেখানোর জন্য।তিনি আরও বলেন,যারা দিল্লিতে বসে আছেন আসলে তারা এ রাজ্যের মানুষকে বিশ্বাস করেনা।এখানে বিভিন্ন জাতির মানুষ রয়েছে ওরা দেখতে একটু অন্যরকম তাই ওদেরকে বিশ্বাস করতে পারছে না দিল্লিতে যারা বসে আছেন।উত্তরবঙ্গ ভাগ নিয়ে বলেন,আমরা উত্তরবঙ্গ ভাগের বিরোধী আমরা দেশের ভাগ চাই না,আমরা রাজ্যের ভাগ চাই না। সিপিআইএম রাজ্য ভাগের বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গ আলাদা করা যায় না।কিছুটা পিছিয়ে পড়া জায়গা আছে সেটা সমস্ত জায়গায়তেই আছে। যেখানে উন্নয়ন হয়নি সেখানে বাড়তি নজরদারি দিয়ে উন্নয়ন করতে হবে এটাই আমরা চাই।