অবতক খবর,২৯ নভেম্বর : দোরগোড়ায় কড়া নারছে পঞ্চায়েত ভোট ! সব রাজনৈতিক দলই ব্যস্ত তাদের ঘর গোছাতে। ঠিক সেই সময় দাড়িয়ে রাজ্য রাজনীতির টাইমলাইনে রয়েছে কেশপুর।গত সপ্তাহে কেশপুরে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তাতেও নাম জড়িয়ে ছিল শাসক দলেরই দুই গোষ্ঠীর। শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব স্বীকার না করতে চাইলেও তৃণমূলের কর্মীর আহত হওয়ায় তা এক প্রকার বোঝা গিয়েছিল কারা ঘটিয়েছে এই ঘটনা। আর সেই ঘটনারই রেস কাটতে না কাটতেই সোমবার শাসকদলের কেশপুর ব্লকের ৪ টি অঞ্চলের সভাপতি কে পরিবর্তন করাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল কেশপুর তৃণমূল কংগ্রেসের নব-নিযুক্ত সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা সহ মন্ত্রী শিউলি সাহাকে। যদিও সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কেশপুরের গোষ্ঠী কোন্দল শিকার করতে না চাইলেও, মঙ্গলবার কেশপুর ব্লক এ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিকে ছাড়াই ব্লকের ৩ সহ-সভাপতি ও যুব সভাপতি প্রকাশে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে কেশপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর জানান যে, দলের নেতৃত্বের কথা অনুযায়ী অঞ্চল সভাপতি আলোচনাক্রমে করার কথা হলেও ব্লক সভাপতি কাউকে না জানিয়ে নিজের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা দলের কর্মীরা সহ আমরাও করছি। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, যিনি নতুন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হয়েছেন তার ভাই বিজেপি মন্ডলের যুব সভাপতি, আরেক ভাই সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের ব্লক সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি নিজের ইচ্ছামত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন দলের কাউকে না জানিয়ে, এমনই অভিযোগ কেশপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর এর। পাশাপাশি তিনি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে আবেদন রেখেছেন কেশপুর নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার জন্য। কেশপুরের শাসকদলের এই গোষ্ঠী কোন্দল কার্যত বারবার প্রকাশ্যে চলে আসছে বলেই মত জেলা রাজনৈতিক মহলের।