অবতক খবর , শিব সংকর , বালুরঘাট :-   এক দুঃস্থ প্রসব সম্ভবা স্ত্রী ও তার বাড়ির লোককে দুর্ব্যবহার করে বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল , বালুরঘাট হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন কুমার মুস্তাফির বিরুদ্ধে। জানা গেছে মালদা জেলা নিবাসী রঘুবর রামের স্ত্রী পপি চৌধুরীর দক্ষিন দিনাজপুর জেলার খানপুর এলাকায় তার বাপের বাড়িতে প্রসব যন্ত্রণা উঠলে তার পরিজনেরা তাকে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যান।

অভিযোগ যে সেখানে কর্তব্যরত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন কুলার মুস্থাফি তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং বলেন যে ওই প্রসূতীর হৃদযন্ত্রের অবস্থা ভাল না তাই মালদার দিশারী পলিক্লিনিক থেকে ওই প্রসূতীর হৃদযন্ত্রের পরিক্ষা করো আনতে হবে। পাশাপাশি ওই প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি না নিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এতে ওই প্রসূতি আরও অসুস্থ হয়ে পরে ,বলে জানা গেছে।

ফলে ওই প্রসুতির গর্ভের সন্তান গর্ভেই মল ত্যাগ করে কিছুটা খেয়েও নেয় বলে জানা গেছে। এর পর প্রসূতির বাড়ির লোক উপায়ান্তর না দেখে অন্য এক স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য মাত্র দুশো টাকা দিয়ে একটি স্থানীয় নার্সিং হোমে ভর্তি করান এবং সেখানেই ওই মহিলার প্রসব হয়।যদিও প্রসব করাতে কোন অসুবিধা হয়নি।মা ও শিশু সুস্থই আছে।

কিন্তু পরবর্তী কালে রঘুবর রাম তার জমি বন্ধক রেখে ওই নার্সিং হোমের টাকা পরিশোধ করতে হয়। রঘুবর রাম এই কারনে রঞ্জন কুমার মুস্থাফির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন , হসপিটাল সুপারের কাছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে যখন জেলায় জেলায় বিনামূল্যে উন্নততর চিকিৎসা দেবার লক্ষ্যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরী করেছেন ।  ঠিক তখনই রঞ্জন কুমার মুস্থাফিদের মত চিকিৎসকদের জন্য রঘুবর রামের মত দরিদ্র মানুষ যখন নিজেদের শেষ সম্বল বন্ধক রাখতে বাধ্য হয় , তখনই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার ওপর উঠে যায় প্রশ্ন।

এই বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য জানতে জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন না ওঠানোয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এখন দেখার বিষয়ে এই অভিযোগের পর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর কি পদক্ষেপ নেয়।