অবতক খবর,২০ জানুয়ারি: গতকাল রাত ১০টা ১০ মিনিটে কলকাতার একটি নার্সিং হোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা রানা চক্রবর্তী। তাঁর প্রকৃত নাম গৌতম চক্রবর্তী হলেও তাঁকে রানা নামেঈ তিনি এই অঞ্চলে পরিচিত ছিলেন।

তিনি এই অঞ্চলের নাগরিক আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে তিনি ছিলেন একজন সম্পূর্ণ কংগ্রেস ম্যান। কংগ্রেসী রাজনীতিতে কংগ্রেসের আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগঠিত করার জন্য তাঁরই নেতৃত্বে বীজপুরে একটি সংগঠন তৈরি হয়, যেই সংগঠনটি এই অঞ্চলের বীজপুর নাগরিক সমিতি হিসেবে পরিচিত। প্রতিষ্ঠা পর্ব থেকেই তিনি এই সংগঠনের সভাপতি এবং আমৃত্যু এই সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। ‌

সংগঠনের সম্পাদক শম্ভুচরণ সিনহা জানান যে,গত ১৫ই জানুয়ারি তিনি বাড়িতে পড়ে যান,তাতে তিনি গুরুতর আহত হন। খুব সম্ভবত তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। তাঁকে কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ব শেষ পর্যন্ত তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। ‌ কলকাতাতেই একটি নার্সিংহোমে তিনি ভর্তি ছিলেন। ‌শেষ পর্যন্ত তিনি গতকাল রাতে প্রয়াত হন। বীজপুরে নাগরিকদের কল্যাণে পৌরসভার যে সমস্ত নাগরিক কর্তব্য পালন করা উচিত, পরিষেবা দেওয়া উচিত তা যখনই বিঘ্নিত হয়েছে তখন এই বীজপুর নাগরিক সমিতি আন্দোলনে নেমেছেন, তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রানা চক্রবর্তী এই অঞ্চলের সুপরিচিত নেতা মৃণাল সিংহ রায়ের অনুরক্ত ছিলেন।

রানা চক্রবর্তী কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন চক্রবর্তীর সান্নিধ্যে ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

অন্যদিকে এই অঞ্চলের একজন সুপরিচিত কংগ্রেস কর্মী শিবদাস চক্রবর্তী তিনি তার ওয়ালে জানিয়েছেন যে, রানা চক্রবর্তীর মৃত্যু রহস্যজনক। তিনদিন আগে থানার মোড় সংলগ্ন যে বাড়িতে তিনি ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন সেই বাড়িতে তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি আরো জানাচ্ছেন, সন্দেহ করা হচ্ছে যে, তাঁকে কোনোভাবে আঘাত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, ভাড়াটিয়া এবং মালিক একটা বিবাদ চলছিল। তাকে প্রথমে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তাঁকে কলকাতা পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তিনি গতকাল রাত ১০টা ১০ মিনিটে প্রয়াত হন।

জানা গিয়েছে পোস্টমর্টেম হওয়ার পর তাঁর দেহ আগামীকাল বিকেল ৪টার সময় থানার মোড়ে তাঁর বাসভবনে নিয়ে আসা হবে।

উল্লেখ্য বছর দেড়েক হলো তাঁর স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন। তিনি

বাড়িতে একাই থাকতেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি খুব কুকুর প্রিয় ছিলেন।