অবতক খবর, ২৪ ফেব্রুয়ারিঃ কাঁচরাপাড়া হাইস্কুল শহরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে একটি উল্লেখযোগ্য হাইস্কুল। এই স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল নিয়ে একটি অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের দক্ষিণ দিকের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙেপড়েছিল নির্মাণের কারণে। পরে প্রোমোটার সেটি পুনর্নির্মাণ করে দিয়েছেন এবং তার উচ্চতা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেই বাউন্ডারি ওয়ালের একটি জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছিল এবং দরজা বসানো হয়েছিল। কেন এটি করা হয়েছিল কেউ জানে না। পরবর্তীতে এই নিয়ে শোরগোল হওয়ায় দেখা যায় সেই যাতায়াতের দরজাটি খুলে ফেলা হয়েছে এবং সেখানে নতুন করে গাঁথনি দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে।

ওই বাউন্ডারি ওয়াল ঘেঁষে গোটা চারেক জেনারেটর বসানো হয়েছে। এই জেনারেটর চলার ফলে যে শব্দ হবে স্বাভাবিকভাবেই ইস্কুলের বাউন্ডারি সংলগ্ন যে বিশাল ক্লাস ঘরগুলো রয়েছে সেখানে পড়াশোনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। কারণ ক্লাসঘরে শব্দ দূষণের মাত্রা বেড়ে যাবে কিন্তু এই যে ঘটনা ঘটলো তার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ যে কত উদাসীন তার প্রমাণ পাওয়া গেল।

একটি স্কুলে রয়েছে পরিচালক সমিতি, সেই সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা কেন এ ব্যাপারে উদাসীনতা দেখিয়েছেন এবং স্কুলের পরিবেশ সুস্থ রাখার জন্য জেনারেটার যে বসানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে কেন প্রতিবাদ জানাননি। এই স্কুল কমিটতে জড়িত রয়েছেন অঞ্চলের প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং ওই স্কুলেরই প্রাক্তন শিক্ষক অলোকময় লাহিড়ি যিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। সদস্য পদে রয়েছেন পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জীব সাহা।তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সমস্ত অভিযোগ জানানো হয়েছে যথাস্থানে অর্থাৎ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌরসভা, থানা, ডিআই অফিস বিভিন্ন জায়গায়।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত করা হয়েছে এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য প্রোমোটার বিমল দাসকে।

বর্তমান প্রশাসক সুদামা রায় সাক্ষাতে জানিয়েছেন, বিষয়টি আমার গোচরে এসেছে। ম্যানেজিং কমিটিকে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমি বলেছি এবং প্রোমোটার বিমল দাসকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তার সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

এই ঘটনার বিষয়ে কমিটির অন্যতম সদস্য সঞ্জীব সাহা বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না, কিছু বলব না।

অন্য অভিযোগ এই স্কুলে মেয়েদের জন্য যে শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে তা নির্মাণ খরচের তুলনায় অত্যন্ত নিম্নমানের।

সুতরাং এসব বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারি নেই। স্কূলের বাউন্ডারি ওয়ালে গেট নির্মাণ ও সারি দিয়ে জেনারেটার রাখার বিষয়ে অর্থ লেনদেন অর্থাৎ কামাইবাজির অভিযোগ উঠেছে।ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রাক্তন কাউন্সিলর বাণীব্রত মন্ডলও এ বিষয়ে উদাসীন।