অবতক খবর,২৬ আগস্ট,জলপাইগুড়ি: মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বুধবার রাত থেকে হয়ে চলা প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী গুলির জলস্ফীতি ক্রমশ বিয়ে চলেছে।

মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের সুখানিঝোড়ার জল ফুলেফেঁপে উঠে প্রবল জলস্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে গেল অস্থায়ী বাঁশের সাকো।

আর এর জেরেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল নাগরাকাটা ব্লকের সদর এলাকার সাথে মনমোহনধুরা বস্তির। পাশাপাশি নদীর জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীর পারে থাকা একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও এমএসকে সেন্টারের। এতেই বিপদে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষজন।

জানাগেছে, বুধবার সন্ধ্যা থেকেই মাল মহকুমা এলাকার নাগরাকাটা ব্লকের বিভিন্ন এলাকা সহ ভুটানের পাহাড়ি অঞ্চলে ভারিমাত্রায় বৃষ্টি হয়। প্রবল বৃষ্টির জলধারা সুখানিঝোড়া দিয়ে বয়ে আসে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় যোগাযোগের ভরসা অস্থায়ী বাঁশের সাকোটিকে। জল ঢুকে যায় এমএসকে সেন্টার ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুই বছর আগেও সুখানিঝোড়ার প্রবল জলচ্ছাসে ভেঙ্গে যায় মনমোহনধুরা বস্তি যাওয়ার পাকা সেতুটি। মাটি ধসে হেলে পড়ে নদীর পারে থাকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। দুই বছরে পাকা সেতু না হলেও সম্প্রতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি অস্থায়ী বাঁশের সাকো বানানো হয়েছিল। বুধবারের বৃষ্টিতে সেটিও ভেসে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা অপু হোসেন বলেন, এই সাকোটি কয়েকদিন আগেই বানানো হয়েছিল। প্রশাসনের কাছে বহুবার ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল কিন্তু সময় মতো ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই সাকোটি ভেসে গেছে। কালকের বৃষ্টিতে এমএসকে সেন্টারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সকাল থেকে বস্তির মানুষ বাইরে যেতে পারছেন না। বাজার হাট, কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

ব্লক প্রশাসনের পক্ষ জানাগেছে, ঘটনাটি দ্রুত খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।