অবতক খবর,২৬ আগস্ট: আজ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রমদপ্তর কর্ম বিনিয়োগ অধিকার প্রকল্পের আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন হলো হাজিনগর হুকুম চাঁদ জুটমিল থেকে।এই প্রকল্পের একটাই উদ্দেশ্য, জুটমিলের শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কর্ম সংস্থান করা। যাতে সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং জুটমিলের কাজে আরো আগ্রহী হন তারা।

আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীর বেচারাম মান্না।এছাড়াও মঞ্চে দেখা যায় বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ,জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম,ডিএম সাহেব, কাঁচরাপাড়া,হালিশহর,নৈহাটি পৌরসভার প্রশাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকদের।

মঞ্চে দাঁড়িয়ে শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না এই প্রকল্প সম্পর্কে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রমিকরা কি কি সুবিধা পাবেন সে সম্পর্কে বিশদে বলেন।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই শ্রমিকদের পক্ষে এবং এই প্রকল্পের সুবিধাগুলি জনসমক্ষে তুলে ধরেন।কিন্তু মঞ্চে বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়ে যায় শোরগোল।মঞ্চে উপস্থিত মন্ত্রী,ডিএম এবং বিধায়কদের উপস্থিতিতে তিনি শ্রমিকদের পক্ষে সওয়াল করেন এবং সেইদিকে নজর দিতে বলেন মন্ত্রীকে।

মঞ্চে দাঁড়িয়ে সকলের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কাজ করলে কারোর চার আনা কেউ নিতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে যে সুবিধাগুলো শ্রমিকরা পায়,সেগুলি তাদের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছায় না। এই অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি এই বিষয়টির দিকে বিশেষ নজর দিতে বলব। কারণ শ্রমিকরা তাদের যথাযথ সুযোগ-সুবিধা পেলে, তাদের অভাব-অভিযোগ পূরণ হলে তারা কাজে আরো উৎসাহী হবে। যারা পরিশ্রম করবে তারা তাদের ষোলআনা বুঝে নিতে পারবে। শুধু এই জুটমিলেই নয়, প্রতিটি জুটমিলেই শ্রমিকদের সুবিধা অসুবিধাগুলির দিকে নজর দিতে হবে।”

তাঁর এই বক্তব্যের পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে শ্রমিকদের মধ্যে। তারা এখন একটাই কথা বলছেন, এই প্রথম এমন কোন নেতা দেখলাম যিনি শ্রমিকদের কথা ভাবলেন, শ্রমিকদের হয়ে কথা বললেন। শুধুমাত্র মঞ্চে বক্তব্য রাখার জন্য তিনি বক্তব্য দেননি, তিনি মন্ত্রীর কাছে শ্রমিকদের সুবিধা অসুবিধাগুলির দিকে নজর দেওয়ার অনুরোধ করলেন।

এতদিন যে নেতারা ছিল,তারা মালিক পক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে মালিক পক্ষের হয়ে কথা বলত। কিন্তু সুবোধ অধিকারী এমন একজন মানুষ যিনি শুধু ভোট পাওয়ার জন্য শ্রমিকদের হয়ে কথা বলেননি, ভোটের আগেও তিনি যে কথা বলেছেন, ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পরেও তিনি তার কথায় অনড় রয়েছেন। ‌

আজকে তাঁর এই বক্তব্য শুনে শ্রমিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ হতচকিত হয়ে গেছেন। এইরকম একটা সরকারি মঞ্চে যে নেতা শ্রমিকদের পক্ষে সওয়াল করতে পারেন, তিনি অন্তত পক্ষে নিজের স্বার্থে রাজনীতি করতে পারেন না,তিনি মানুষের কথা ভাবেন মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবেন।