পৌষ সংক্রান্তি,মানে পিঠেপুলির পার্বণ।সত‍্যিই কি আমরা পিঠেপুলি চাই? আমরা কী চাই, শুনুন তবে

পৌষ সংক্রান্তি
তমাল সাহা

তোমরা বলো পৌষ সংক্রান্তি
আমার চোখে শুধু বিভ্রান্তি।

পৌষ সংক্রান্তি, তোমরা জানো
পিঠে পুলির উৎসব।
ওরে টুসু আগল খুলে আয়
দেখ তো কিসের কলরব?

জমির ধান তুলে নিয়ে যাবে
লোকলস্কর, হাতে নিয়ে লাঠি।
ওই দেখ কে দাঁড়িয়ে দুয়ারে
এতো আড়কাঠি!
নবান্ন! কিসে হবে পিঠে?
ভারতবর্ষে এখনো
দুমুঠো ভাত কি জোটে?

তুমি বলো
পাটি সাপটা, চাঁদ পুলি-পিঠে
শব্দগুলি বড় সুন্দর
শুনতে লাগে খুব মিঠে।

তুমি বলো পৌষ সংক্রান্তি
আমরা তো শুনেছি প্রবাদ–
শিরে সংক্রান্তি।
এই সংক্রান্তির কি তবে মানে
হাত তুলে বলো,কে কে জানে?

টুসু সাজবে, নাচবে, ঘুরবে,
পরবে হলুদ রঙা শাড়ি —
এই নিয়ে শুনি কত লোকগাথা।
কিন্তু পিঠে তো দূরের কথা
ভাতের কি হবে কে বলবে এ কথা!
গঙ্গায় স্নান, সে নাকি পুণ্যস্নান
সেরে উঠলেই পেটে মুচড়ে ওঠে
খিদের ব্যথা।

সবাই তো ধর্মের ফেউ
এসব কথা বলে না তো কেউ!
এসব কথা কি জানে কপিল মুনি
অথবা পৌষ সংক্রান্তি
ভাত নিয়েই তো যতো অশান্তি।
সূর্য যায় উত্তরায়ণে
এক রাশি থেকে ঝুঁকে যায় মকরে।
আমাদের চোখগুলি নজর রাখে
শুধু জঠরে।

আমরা চাই
সংক্রান্তি মানে মাসের শেষ দিন নয়—
আমাদের দুঃখের দিন অতিক্রান্ত।
ক্রান্তি এসেছে, নেই কোনো চক্রান্ত।

পেট পুরে পেয়ে গেছি ভাত—
কেমন হয়েছে ঘুম কাল রাত?
সূর্য পরদিন ডেকে যেন বলে—
সুপ্রভাত।