অবতক খবর,২৬ জুনঃ রাজ্যে নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ব্যারাকপুর ১ ব্লকের অন্তর্গত যে পঞ্চায়েতগুলি রয়েছে,যেমন জেঠিয়া, পলাশি-মাঝিপাড়া, কাঁপা-চাকলা,পাল্লাদহ,বালিভাড়া– এই সমস্ত অঞ্চলের দায়িত্ব পেয়েছেন বর্তমানের বীজপুরের নেতৃত্বরা। এখন দেখার বিষয় এই যে, তারা সেই দায়িত্ব কতটা পালন করতে পারবেন, কিভাবে জয় করতে পারবেন এই পঞ্চায়েতগুলি। আর এই বিষয়ে তাদের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে দলের উচ্চ নেতৃত্বরা।

প্রচুর সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে এই অঞ্চলগুলিতে মিটিং করতে গিয়েছিলেন নেতৃত্বরা। গতকাল যেহেতু সভা ছিল, সেই কারণে দুদিন আগেই কাউন্সিলর এবং দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে জানানো হয় বীজপুর থেকে যেন প্রচুর সংখ্যক কর্মী যেন পঞ্চায়েত এলাকায় যান।

বিরোধীদের প্রশ্ন,এই যে পৌরসভা অঞ্চলের কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত অঞ্চলে,তবে কি পঞ্চায়েত অঞ্চলে দলে কোন লোক নেই? বীজপুর থেকে লোক নিয়ে যেতে হচ্ছে? তবে কি এই বহিরাগতরাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস করবে? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী নেতারা।

পাল্লাদহ অঞ্চলে সিপিআইএম কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি তাদের দেওয়াল মুছে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে নয়ন মন্ডল এবং মীরাজ মন্ডল,এদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে এই দুজন অভিযুক্ত জানান, কথা কাটাকাটি হয়েছিল। কিন্তু তারা যে অভিযোগ তুলছেন মারপিটের, সেইরকম কিছু হয়নি। আর দেওয়াল তারা নিজেরাই মুছে দিয়েছেন।

বর্তমানে যে রাজনীতি চলছে তাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে অঞ্চল। সবে তো শুরু। আর কিছুদিন পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কি হতে চলেছে এই পঞ্চায়েতগুলিতে,তা বোঝা যাবে নির্বাচনের দিনই। এমনই বলছে বিরোধী দলগুলি।

অন্যদিকে পঞ্চায়েতের বিরোধী নেতারা বলছেন,এই যে বীজপুর থেকে বহিরাগতরা আসছে, মিটিং মিছিল করছে,এটা অবশ্যই সাধারণ মানুষের চোখে পড়ছে। পঞ্চায়েতগুলিতে বাইরের লোক এনে মাঠগুলো ভরতে হচ্ছে। তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে বলেই আজ তারা বহিরাগতদের এনে অঞ্চলে মিটিং মিছিল করছে। সাধারণ মানুষ আর তৃণমূলকে চাইছে না। তবে ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত। বহিরাগতরা ঢুকলে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না।

এদিন দেখা যায় বাস ভর্তি করে বীজপুর থেকে লোকজন গেছেন পলাশী-মাঝিপাড়ার সভাস্থলে। তবে এই যে ভিড় বাড়াতে তারা সভাস্থলে গেছেন, তার কেমন প্রভাব ভোট বাক্সে পড়বে তা ফলাফলই বলবে, মন্তব্য বিরোধীদের।