অহিংসার দেশ ভারতবর্ষ। নিরস্ত্র হাতে যোদ্ধারা যুদ্ধ করে। সেনাপতির কোনো ঝুঁকি নেই। কারণ সে তো ময়দানে নেই। দূর থেকে শুধু হুকুমবাজি। এখানেও অনুপ্রেরণা। সেখানেও অনুপ্রেরণার পুষ্প নিয়ে হাওয়াইবাজি।জনকোষাগার থেকে লক্ষ কোটি টাকা ফুৎকারে উড়ে যায়….

পুষ্পক রথ
তমাল সাহা

এই না হলে ভারত!
উঠে আসছে মহাভারত।
ওই দেখো, আকাশে পুষ্পক রথ
করিতেছে পুষ্প বর্ষণ।
এদিকে চলিতেছে অপূর্ব শোষণ।

রাষ্ট্রের এই নির্মম পরিহাস
লেখা রবে করোনা-র ইতিহাস।
মানুষ কী এতোই নির্বোধ হায়!
রাষ্ট্র তার দৃষ্টি ঘুরাতে চায়?

করোনা- যোদ্ধার সম্মানে
বেজে ওঠে আর্মিব্যান্ড
যুদ্ধজাহাজে জ্বলে ওঠে আলো।
যোদ্ধার হাতে যথেষ্ট পিপিই কিট নেই
অনুষ্ঠান খুব জমকালো!
যত সব পুষ্পরাশি কথা ছিল
বর্ষিত হবে হাসপাতাল ও যোদ্ধাদের মাথায়।
সেইসব ঝরে পড়ে রাস্তায় গড়গড়ি খায়।

করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ে।
লক্ষ লক্ষ মানুষ লাইনে দাঁড়ায় অনাহারে।
অনাসৃষ্টির দেশে উড়িছে বিমান।
স্বাস্থ্যযোদ্ধাদের নিরাপত্তা নেই,
ঝুঁকির লড়াইয়ের মুখে মৃত্যুর গান।

আহা!মাথার উপরে ঝরিছে ফুল—
পুষ্পবৃষ্টির সম্মান।

রবীন্দ্রনাথ বলে,
এ তো রাজকীয় কৌতুক!
করোনা যোদ্ধারা পাইতেছে
এমন যৌতুক?