অবতক খবর,১৮ মে,মালদা :- পিএইচির জলে কেঁচো। চক্ষুচড়ক গাছ এলাকাবাসীর। আতঙ্কে পিএইচইর জল পান করা বন্ধ করে দিলো সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে টিউবয়েল বা নলকূপেও নেমে গেছে জলস্তর।পিএইচই কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ব্যাপক ক্ষোভ।রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালো এলাকার সাধারণ মানুষ। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আশ্বাস বিডিওর। মানুষের বিক্ষোভ হওয়া স্বাভাবিক মেনে নিল তৃণমূল। খোঁচা বিজেপির।

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অর্জুনা গ্রামের ঘটনা। গ্রামবাসীরা জলের কল খুলে হঠাৎ দেখতে পায় জলের মধ্যে কেঁচো।ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাস্তায় নেমে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষ।পিএইচইর জলে কি ভাবে কেঁচো এলো তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।এলাকাবাসীর অভিযোগ সঠিক ভাবে পরিষ্কার হয় না রিজার্ভার। দীর্ঘদিন ধরে জল দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম করছে পিএইচই কর্তৃপক্ষ। পিএইচইর জল ব্যবহার করা হচ্ছে চাষের ক্ষেত্রে।মাখনা এবং ধানের জমিতে দেওয়া হচ্ছে জল।

কিন্তু তারপরেও চুপ ছিল এলাকাবাসী। এবার জলে কেঁচো পাওয়া যেতেই রীতিমত বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তারা।যার জেরে ছড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন উঠেছে।এলাকাবাসীর আশঙ্কা এই জল যদি এলাকার সকলে পান করতো তবে ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারত। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক বিডিও বিজয় গিরি। এই ধরনের ঘটনায় বিক্ষোভ হওয়া স্বাভাবিক মেনে নিয়েছে শাসকদলের নেতারা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাবে শাসকদল। জলের অপর নাম জীবন। এদের উদাসীনতা মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে।খোঁচা বিজেপির।

বিক্ষোভকারী মোমেদা খাতুন বলেন, জলের মধ্যে কেঁচো পাওয়া গেছে। সেই জল যদি আমরা পান করতাম তাহলে প্রত্যেকে অসুস্থ হয়ে যেত।

বিক্ষোভকারী বেগম বিবি বলেন, কয়েকদিন ধরেই শুনছিলাম অপরিষ্কার জল বেরোচ্ছে।আজ নিজে চোখে দেখলাম। পিএইচই বহুদিন ধরে ঠিকভাবে জল দেয় না। আমরা আতঙ্কে জল খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।

বিক্ষোভকারী এলাকাবাসী আতাউর রহমান বলেন, পিএইচই কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে জলের অপব্যবহার করত। পানীয় জল চাষের জমিতে দেওয়া হতো।এবার জলে কেঁচো পাওয়া গেল।তাই আমরা বিক্ষোভ করছি।

হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক বিডিও বিজয় গিরি জানান ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, এটা স্বাভাবিক মানুষ বিক্ষোভ করবে।কর্তৃপক্ষ একদমই উদাসীন। দীর্ঘদিন ধরে বহু বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। আমি প্রশাসনকে ঘটনাটা জানাবো।

বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, এই রাজ্যে বাস করি এটা এখন বলতে লজ্জা লাগে। এরা মানুষকে পরিশ্রুত পানীয় জল দিতে ব্যর্থ। প্রধানমন্ত্রীর জল জীবন জল মিশন প্রকল্পের কাজে এখানে তৃণমূলের জন্য ঠিকভাবে হয় না। জলের অপর নাম জীবন। এই ঘটনা খুব লজ্জাজনক।

তীব্র দাবদাহে একেই এলাকায় এলাকায় পানীয় জল নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।যে সব এলাকায় পিএইচই রয়েছে সেখানে পিএইচইর জলের উপরই ভরসা এলাকাবাসীর।কিন্তু সেই জলে কেঁচো। কাঠগড়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। কারণ সেই জল পান করে অসুস্থ হতে পারতো এলাকার হাজার হাজার মানুষ।