অবতক খবর,৯ এপ্রিল: গলার নলি কাটা। ধড় ও মাথা প্রায় আলাদা হয়ে গিয়েছে। ঘরের মেঝে ভাসছে রক্তে। শুক্রবার সন্ধেয় উত্তর বারাকপুর পুরসভার পলতার জহর কলোনিতে বায়ুসেনা কর্মীর বাড়ি থেকে এই অবস্থাতেই উদ্ধার করা হল তাঁর স্ত্রীকে। খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বায়ুসেনা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম রঞ্জনা দেবী। বয়স তিরিশ। অমরলালকে বারাকপুর সেনা ছাউনিতে কর্মরত। সপ্তাহ দুয়েক আগেই স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে পলতার ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন।

ছবি:রঞ্জনা দেবী

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় দেহটি উদ্ধা করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এরপর পুলিশ মৃতার স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরে অসংজ্ঞতি দেখা যায়। অভিযুক্তের বড় মেয়ের বক্তব্যের সঙ্গে তাঁর কথাও মেলেনি। তখনই সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা সৌরভ মল্লিক বলেন, “দম্পতি দিন পনেরো আগে এই বাড়িতে ভাড়া নিয়ে এসেছিলেন। মৃতার স্বামী বায়ুসেনার কর্মী। এদিন তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। ফিরে এসে তিনি স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে প্রতিবেশীদের খবর দেন।” কিন্তু তিন ও সাত বছর বয়সের দুই মেয়েকে নিয়ে পার্কে যাওয়ার আগেই বিকেলে স্ত্রীকে খুন করে বিছানায় মৃতদেহ ফেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অমরলাল। জেরায় ভেঙে পড়ে এমনটাই স্বীকার করে নেন তিনি। মৃতার ভাই জানান, মাঝেমধ্যেই তাঁর দিদিকে মারধর করতেন অমরলাল। এমনকী এর আগে একবার রঞ্জনা দেবীর গায়ে আগুন লাগিয়ে খুনের চেষ্টাও করেছিলেন।