অবতক খবর: বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহে শীর্ষে বাংলা। জলের গুণগত মান পরীক্ষাতেও সব রাজ্যকে টেক্কা দিল পশ্চিমবঙ্গ। এখনও পর্যন্ত গ্রামীণ বাংলার ৬৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৭৪টি বাড়িতে নলবাহিত জলসংযোগ হয়েছে। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩৪.৩৯ শতাংশ। নবান্নের আশা, যে গতিতে কাজ চলছে তাতে লোকসভা ভোটের আগে ৫৫ শতাংশের বেশি বাড়িতে জল পৌঁছে যাবে। গোট বিষয় নিয়ে শীঘ্রই সমীক্ষা শুরু হবে।

বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে এনএবিএল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ল্যাবরেটরির সংখ্যা মাত্র একটি! দ্বিতীয় স্থানে থাকা মধ্যপ্রদেশে ১০৬টি, মহারাষ্ট্রে ৩৪টি, গুজরাতে ৭৫টি। উত্তরাখণ্ডে একটিও এনএবিএল ল্যাবরেটরি নেই। মণিপুরে মাত্র তিনটি, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডে একটি করে। মিজোরামেও এনএবিএল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জল পরীক্ষাকেন্দ্র নেই।

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের তথ্য বলছে, জল পরীক্ষার জন্য রাজ্যে মোট ১৪৪টি ল্যাবরেটরি আছে। যার মধ্যে ১৪৩ টিই ন্যাশনাল অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি বা এনএবিএল-এর স্বীকৃতি পেয়েছে। আর এই মাপকাঠিতেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে কয়েক যোজন পিছনে ফেলেছে তৃণমূল শাসিত বাংলা।

দফতরের এক আধিকারিক জানান, বাড়ি বাড়ি নলবাহিত জল সরবরাহ হোক কিংবা জল পরীক্ষার এনএবিএল ছাপযুক্ত ল্যাবরেটরি, কোথাও কোনও ফাঁক খুঁজে পাচ্ছে না কেন্দ্র। তাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারবার অভিযোগ তোলা সত্ত্বেও তা ধোপে টিকছে না। বরং বারবার কেন্দ্রের প্রশংসাই আদায় করে নিয়েছে এই প্রকল্প। সম্প্রতি নবান্নে এই প্রকল্প নিয়ে ব্লক ধরে ধরে আলোচনা করেন মুখ্যসচিব। জল সরবরাহের গুণগত মান নিয়ে সমীক্ষা শুরুর নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে,

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে জোরকদমে কাজ করছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল জোরকদমে পৌঁছে দিয়ে এই কাজে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে পশ্চিমবঙ্গ। এই জল যেন পুরোপুরি পরিস্রুত হয় সেটাও নিশ্চিত করতে রাজ্যের সমস্ত জেলায় জল পরীক্ষাগারও তৈরি হয়েছে। কোথাও কোনওরকম ফাঁক রাখেনি নবান্ন। দেশের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক জল পরীক্ষাগার স্থাপনের মধ্য দিয়ে তা আরও একবার স্পষ্ট হল।