অবতক খবর,৪ মার্চ: উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী সফরে খেলা হবে প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,
উনি অখিলেশ যাদবের খেলাই শেষ করতে গেছেন। কালকে যেভাবে উনি মঞ্চে ভাষণ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মানুষ কিভাবে নেবেন যোগী ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সম্পর্কে যেভাষা ব্যবহার করেছেন আমার মনে হয় উত্তরপ্রদেশের মানুষ ভালো ভাবে নেবেন না।

ইউক্রেনে ভারতীয় ছাত্রদের দেশে ফেরানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মোদি শুধু মিটিংয়ে ব্যস্ত। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,
ওনার যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে উনি যান। মোদী একমাত্র প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্বের মধ্যে যে ভারতীয় ছাত্রদের সুরক্ষিত ভাবে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। ওনারা ভেবেছিলেন কিছু ভারতীয় যুদ্ধে মারা যাবে রাস্তায় নামবেন আন্দোলন করবেন। মোদিজির কুশল নেতৃত্বে ২০ হাজার ভারতীয় সুরক্ষার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন। আজ প্রায় ১৮-১৯টা বিমান যাবে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য। ছাত্রছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবক রা আশীর্বাদ করছেন।

এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ। আদালতের নির্দেশ সিবিআই তদন্তের। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,
পশ্চিমবাংলার দুর্নীতি আর সিবিআই তদন্ত একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে এমন কোনো পরীক্ষা হয় না যেখানে গন্ডগল নেই দুর্নীতি নেই। আর নিয়োগও হয় না দুর্নীতি ছাড়া। পরীক্ষা হলে নিয়োগ হয় না। নিয়োগ হলে কেউ জানতে পারে না কার কোথায় নিয়োগ হলো। পরীক্ষা না দিয়েও চাকরি পাওয়া যায়। আবার ফেল করলেও চাকরি পাওয়া যায়। এই সরকারে সামান্য যোগ্যতা টুকু স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া টুকু করতে পাচ্ছে না। লোকে কোর্টে যাচ্ছে সিবিআই তদন্ত করছে এটা দুর্ভাগ্যজনক।

খড়গপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে তিনি বলেন,
কিছু হয়েছে ওখানে পার্টি অফিসে মিটিং করা নিয়ে। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি। পার্টির মধ্যেই মেটাব।

মুখ্যমন্ত্রী কে কালো পতাকা দেখানো নিয়ে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
দিদিমণি কে কেন কালো পতাকা দেখানো হয়েছে তা নিয়ে বাংলায় মিছিল হবে। আমাদের কাছে খবর আছে উদ্দেশ্য প্ৰনদিতভাবে কালো পতাকা দেখানোর জন্য লোক ফিট করা হয়েছিল। বিজেপির কেউ ছিল না। অখিলেশ ভাই লোকজন ফিট করে রেখেছিলেন যেন খবরটা হয়। দিদির ছোট ছোট ভাইয়েরা যারা সিন্ডিকেট চালিয়ে খান, কাটমানি তুলে খান তাদেরকে আজ নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে। দিদির প্রতি কতটা আনুগত্য রাস্তায় নামবে তারা। উনি যদি সর্বভারতীয় নেত্রী হন তাহলে শুধু বাংলাত নয়, উত্তরপ্রদেশেও বিক্ষোভ হওয়া উচিত, ত্রিপুরা ও গোয়াতেও হওয়া উচিত। তবে না বুঝব উনি ন্যাশনাল লিডার। ঘর কা মুরগি ডাল বরাবর। আপনা ঘর পে কুত্তা ভি শের হোতা হ্যায়। বিক্ষোভ দেখানো কিছু লোকের পেশা হয়ে গেছে। এই করে খাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কত বড় নেত্রী যদি সারা দেশে বিক্ষোভ হয় তাহলে আমরা ধরে নেবো উনি জাতীয় নেত্রী হয়েছেন।👇🏻