অবতক খবর,ডুয়ার্স,২০ আগস্ট:নাগরাকাটা চা বাগানের একজন চাকুরী হারানো শ্রমিকের ধর্না নিয়ে মালবাজার শহরে শ্রম আধিকারিকের দপ্তরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হল। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চাবাগান কর্তৃপক্ষর তরফে এক প্রতিনিধি, শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সহকারী শ্রম আধিকারিক চিয়ং শেরপা। এই বৈঠক নিয়ে পুলিশি নিরপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই নাগরাকাটা ব্লকের নাগরাকাটা চা বাগানের টোডরমল খালখো নামের এক শ্রমিককে তার অনৈতিক আচরনের জন্য কাজ থেকে ডিসমিস করে বাগান কর্তৃপক্ষ। এরই প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১২ আগস্ট থেকে ওই শ্রমিক পুনরায় কাজে বহাল করার দাবী জানিয়ে বাগানের অফিস গেটের সামনে ধর্নায় বসেন। ধর্নায় বসে ওই শ্রমিক জানিয়েছিল যে, “চাবাগান কর্তৃপক্ষ তাকে অন্যায় ভাবে বসিয়ে দিয়েছে। তার প্রতিবাদেই এই ধর্না।”
আর এই ঘটনায় চাবাগানের স্বাভাবিক ছন্দে বিঘ্ন ঘটে। চাবাগান কর্তৃপক্ষ শ্রম আধিকারিকের দপ্তরে বিষয়টি মিমাংসার জন্য আবেদন করেন। এদিন বেলা ২ টা নাগাদ ত্রিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে শ্রম আধিকারিক চিয়ং শেরপা বলেন, “আমি উভয় পক্ষের কাছে তাদের কাগজপত্র চেয়েছি এবং ৭ দিন সময় নেয়া হয়েছে, সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত জানাব।”
চাবাগান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে টি এসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার তরাই শাখার সচিব সুমিত ঘোষ বলেন, “নাগরাকাটা ডুয়ার্সের অন্যতম চাবাগান গুলির মধ্যে একটি। শ্রমিকদের পাওনাগণ্ডা সময় মতো প্রদান করে। চাবাগান কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের অন্যায় আচরণের জন্য সমস্ত নিয়ম মেনেই ডিসমিস করেছে। সেই আইনি নথিপত্র আমাদের কাছেও আছে। তারপর ওই শ্রমিক কারখানার সামনে ধর্নায় বসেছেন। এতে চাবাগানের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। আমরা শ্রম আধিকারিকের কাছে আবেদন করেছিলাম। আজ শান্তিপূর্ণ বৈঠকের পর উনি ৭ দিন সময় নিয়েছেন। আইনের উপর আমাদের আস্থা আছে।”
এদিকে ধর্নায় বসা শ্রমিক টোডরমল খালখো ও চাবাগানের শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি বিনয় মুর্মু জানান, “শান্তিপূর্ণ বৈঠক হয়েছে, আধিকারিক আমাদের কাছে ৭ দিন সময় নিয়েছেন। এই ৭ দিন টোডরমল খালখো ধর্নায় বসবে না। ৭ দিন পর কি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”