অবতক খবর , নদীয়া :      নদীয়া জেলার শান্তিপুর শহরের কাশ্যপ পাড়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ পাশাপাশি বাস করেন বাসুদেব ঘোষ এবং সোমা সিংহ ঘোষ। সোমা সিংহ ঘোষ তার সীমানা থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে না রেখেই গৃহ শুরু করায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাসুদেব ঘোষ। আদালতের নির্দেশে ঐ স্থানে গৃহনির্মানর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় বলেই জানান বাসুদেব ঘোষ।

তার অভিযোগ অনুযায়ী আজ সকাল নটা নাগাদ নির্মাণকার্য শুরু করতে গেলে বাসুদেব বাবুর স্ত্রী ব সাবিত্রী দেবীকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারে সোমা সিংহ ঘোষের পরিবারের লোকজন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সাময়িক মীমাংসা করে।

এ বিষয়ে বাসুদেব ঘোষ জানান, “সোমা সিংহ ঘোষ রানাঘাটের বিধায়ক শংকর সিংহের বোন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে, অতীতেও মারধর করে আমাদের। আজ এই অবৈধ নির্মাণ কার্য সম্পন্ন করার জন্য শংকর সিংহর একভাই শিব সংঙ্কর সিংহ সুদূর চাকদহ থেকে সোমা সিংহ ঘোষের বাড়িতে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীদের নিয়ে সকাল থেকেই মদ্যপান করতে দেখেছি।”

বাসুদেব বাবুর স্ত্রী সাবিত্রী দেবী জানান “রাত্রি নটা নাগাদ দ্বিতীয়বারের জন্য নির্মাণকার্য শুরু হতেই আমি বাড়ি থেকে চেচামেচি করলে, শংকর সিংহের ভাই শিব সংকর সিংহ ১০-১৫ জন দুষ্কৃতী নিয়ে আমার বাড়িতে এসে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার বা হাতে কোপ মারে পরপর তিনবার। এবং আমার স্বামীর ঠেকাতে আসলে তাকে সকলে মিলে বেদম প্রহার করে।” আহত বাবাকে, রক্তাক্ত মাকে নিয়ে শান্তিপুর থানায় যায় এক পুত্র, শান্তিপুর থানা থেকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। পরবর্তীতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শান্তিপুর থানায়।

অন্যদিকে অভিযুক্ত সোমা সিংহ রায় জানান “সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে আমার নামে, বরং বাঁশ দিয়ে আমাকে আমার ভাই এবং ভাইয়ের বউ কে মেরেছে ওরা, নিজেই হাত কেটে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ঘটনাস্থলে পরবর্তীতে আর পুলিশ আসেনি , নির্মাণকার্য শেষ হয়েছে রাত তিনটে নাগাদ।