অবতক খবর,২৯ নভেম্বর,ত্রিপুরা প্রতিনিধি:- দুর্নীতি ও ঘাপলা’র মগডালে যেন চড়ে বসে আছে রাজ্য বিজেপি সরকারের একাংশ দপ্তর । উল্লেখ্য, “এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা’র” বিকাশে ৩ বছরের বিজেপি শাসনের মধ্যেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর কর্তৃক উন্নয়ন মূলক কাজকর্মে দুর্নীতি ও গুনগতমান নিম্নমানের কাজের অভিযোগ এই যেন কোন নতুন কথা নয় । অনেকটা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মতো অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান ত্রিপুরা সরকার । ফের একবার স্থানীয় সাধারণ জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়ে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত বিশাল অঙ্কের বাজার শেডের সরকারি কাজের গুনগতমান বরাবরের মতোই নিম্নমান হওয়ার দরুন ।

শেষ পর্যন্ত দুই নাম্বারী’র দুর্নীতির কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল স্থানীয় উত্তেজিত একাংশ আম-জনতা । দফায় দফায় ভাঙচুর করা হয় নব নির্মিত বাজার শেডটি’র সাইড ওয়াল । ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত উত্তর গকুল নগর’র তুইমধু-স্থিত লক্ষী নারায়ন বাজারে । ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিগত ৬ মাস পূর্বে ত্রিপুরা সরকারের অধীনস্থ তেলিয়ামুড়ার এগ্রিকালচার অফিস থেকে তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত উত্তর গকুল নগর’র তুইমধু-স্থিত লক্ষী নারায়ন বাজারটি দীর্ঘ বছর যাবৎ দৈন্যদশায় পড়ে থাকার দরুন বিজেপি সরকার নতুন আঙ্গিকে রূপ দেওয়ার জন্য একটি কাজের টেন্ডার বার করে । আর সেই মোতাবেক বর্তমানে দীর্ঘ ৮ মাস ধরে জোরকদমে চলছে এই বাজার শেডটি তৈরির ঘাপলামুখী উন্নয়নের কাজ । দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় জনগণ বিশাল অঙ্ক ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত এই বাজার শেডটি’র কাজের গুণগতমান মূলতঃ নিম্নমান হওয়ার দরুন ক্ষোভে এক প্রকার ফেটে পড়ছে ।

আর হঠাৎ তা এক প্রকার কাল দাঁড়ায় বলা চলে । উল্লেখ্য, নব নির্মিত বাজার শেডটি’র বিল্ডিং’র কাজ চলাকালীন স্থানীয় একাংশ জনগণ হঠাৎ কাজের গুনগতমান কতটুকু রয়েছে তা নিয়ে শ্রমিক’কে প্রশ্ন করলেই বাধে তুমুল বিপত্তি । স্থানীয় একাংশ ব্যক্তি ক্ষোভে বিল্ডিং’র সাইড ওয়াল সামান্যতম ধাক্কা ও দফায় দফায় লাথি মেরে মেরে ভেঙে ফেলে । একসময় স্থানীয় জনগণ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মূলতঃ অভিযোগ তুলে যে, এই ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত বাজার শেড তৈরির কাজ পুরোটাই দুর্নীতি ও নিম্নমানের চাঁদরে মোড়া রয়েছে । পাশাপাশি ইট, পাথর, বালি থেকে শুরু করে সমস্তই নিম্নমান প্রকৃতির— যাতে কোন সন্দেহ নেই বললেই চলে । এছাড়াও তারা মূলতঃ আরও অভিযোগ তুলে যে, নব নির্মিত এই বাজার শেডটি তৈরি’তে বালি ও সিমেন্টের পরিমাপের কোন সামঞ্জস্যতাই নেই । এছাড়াও শেড ভবনটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয় নি কোন ধরনের উন্নতমানের রড । এমনকি ছাদ ডালাইয়ের অল্প দিনের মধ্যেই টপ টপ জল পড়তে শুরু করছে । আর এই ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত বাজার শেড তৈরির কাজটি উদয়পুরের জৈনক ঠিকেদার রঘুনাথ সাহার তত্ত্বাবধানে চলছে বলে জানায় স্থানীয় এক যুবক ।

যদিও আজ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে শুরু করে তাঁরা কেউই এখনো পর্যন্ত এই কাজটির গুণগতমান আদৌও সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে এক মুহূর্তের জন্যও পরিদর্শনে আসেন নি । এইদিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রশাসনিক স্তরের আমলা গণ থেকে শুরু করে ঠিকাদারদের এইরকম খামখেয়ালীপনা নিয়েও একপ্রকার ক্ষোভ জাহির করে স্থানীয় জনগণ । এখন মূলতঃ এটাই দেখার বিষয় যে, সংবাদ পরিবেশনের পরেও এইরকম দুর্নীতি ও নিম্নমানের কাজের বেড়াজালে আবদ্ধ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধে প্রশাসন কর্তৃপক্ষ আদৌও কোন ধরনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে কি না ।।